আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী

|

রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে সংসদীয় গণতন্ত্রে ফেরার ১৬ বছরের ইতিহাসে ১৩ বার সরকার বদল হয়েছে নেপালে। এবার ১৯ মাস ক্ষমতায় থাকার পর ফের পালাবদল হতে চলেছে দেশটিতে। পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে শুক্রবার হেরে গেলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ‘প্রচণ্ড’। হয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত। জোটের সবচেয়ে বড় শরীক দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (ইউএমএল) সমর্থন প্রত্যাহারের পর শুক্রবারের (১২ জুলাই) ভোটাভুটিতে হেরে গেছেন তিনি।

এর আগে গত ৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী পুষ্প দাহালের জোট সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় জোটের সবচেয়ে বড় দল ইউএমএল। এরপর সংবিধান অনুযায়ী বাধ্য হয়ে পুষ্পকে সংসদে আস্থাভোটের আয়োজন করতে হয়। পুষ্প কামাল সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের পর বুধবার (১০ জুলাই) নতুন জোট ঘোষণা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দল ইউএমএল।

নেপাল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভসের আসন সংখ্যা ২৭৫। এর মধ্যে দেউবার নেপালির কংগ্রেসের ৮৮ ও ওলির দল ইউএমএলের ৭৯ জন সদস্য রয়েছেন। অর্থাৎ এ দুই দল এক হলে অনায়াসেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য নূন্যতম ১৩৮টি আসন পাওয়া সম্ভব। অন্যদিকে, পার্লামেন্টে প্রচণ্ডের দল সিপিএনের (মাওয়িস্ট সেন্টার) হাউজ সদস্য রয়েছেন ৩২ জন। মাওবাদীদের দুই সহযোগী দল, রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্রতা পার্টির ২১ ও সিপিএমের (ইউনিফায়েড সোশ্যালিস্ট) এর রয়েছেন ১০ জন হাউজ সদস্য।

প্রচণ্ডের নেতৃত্বেই নব্বইয়ের দশকে নেপালে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে মাওবাদীরা। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির পর দেড় দশক আগে নেপাল থেকে রাজতন্ত্রের অবসান হয়। তারপর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতার শিকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল প্রচণ্ডের মাওয়িস্ট সেন্টার। কিন্তু জোটে জেতার পরই দেউবাকে ছেড়ে ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন প্রচণ্ড। ২০২৩ সালে ওলির সঙ্গে মতবিরোধের সময় দেউবার সমর্থন নিয়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। এবার কেউই তার পাশে না থাকায় ক্ষমতা থেকেই সরতে হচ্ছে তাকে।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply