রিমন রহমান:
প্রায় এক বছর ধরে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শুরুতে চারটি স্কিমে বিনিয়োগ করা গেলেও চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে প্রত্যয় নামের আরও একটি স্কিম চালু করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত তিন লাখের বেশি মানুষ এই খাতে ৯৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। তবে, এই টাকা কোথায় বিনিয়োগ হচ্ছে?
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের অর্থ বিনিয়োগে এখনও ট্রেজারি বন্ডই ভরসা। কর্তৃপক্ষ এর বিকল্প কোনো উৎস এখনো ঠিক করতে পারেনি। ইতোমধ্যে কয়েক দফায় এই খাতে ৮৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। তাছাড়া, এই খাত থেকে পাওয়া সুদের হার নিয়েও সন্তুষ্ট সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ।
সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, বর্তমানে ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করলে লাভ বেশি হচ্ছে। তাছাড়া এই খাতে বিনোয়োগ নিরাপদ। তাই এই মূহুর্তে ট্রেজারি বন্ডকেই বিনিয়োগের সর্বোত্তম জায়গা বলে মনে করছি। ট্রেজারি বন্ডে ১১ থেকে ১২ দশমিক ১৫ শতাংশ পর্যন্ত লাভে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
জনগণের আমানতের সুরক্ষা দিতে চায় পেনশন কর্তৃপক্ষ। তাই অন্য কোন উৎসে এই অর্থ রাখা হচ্ছে না। এখন প্রশ্ন উঠছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিকল্প কোনো উৎস কি খোঁজা হচ্ছে?
এ বিষয়ে গোলাম মোস্তফা বলেন, বর্তমানে বিনিয়োগ বিধিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। খুব শীঘ্রই এটি প্রকাশ করা হবে। তখন কোন কোন জায়গাকে বিনিয়োগের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে, তা জানা যাবে। এক্ষেত্রে নিরাপদ ও কম ঝুকিপূর্ণ জায়গায় বিনিয়োগ করা হবে।
পেনশন ফান্ডের টাকা বিনিয়োগের জন্য কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেয়া হবে।
এদিকে, দিন দিন পেনশন কার্যক্রমে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে। বড় হচ্ছে বিনিয়োগের অর্থ। তাই, এই টাকার ব্যবহার নিয়েও দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, পেনশন ফান্ডে জমা পড়া টাকা কীভাবে বিনিয়োগ করে রিটার্ণ নিশ্চিত করা হবে সেটি পরিস্কার নয়। তাছাড়া, টাকা ফেরত দেয়ার সময় সরকারের জন্য তা বাড়তি চাপ হবে কি না সেই বিষয়টিও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিমের পথচলা শুরু হয়। সরকার দেশের সব শ্রেণির মানুষকে এই সুবিধায় আনতে চায়।
/আরএইচ
Leave a reply