কোপা আমেরিকার পর্দা নামছে আগামীকাল। সোমবার (১৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শিরোপা জয়ের মহারণে নামবে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে সফল দল আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। এবারের ট্রফি জিতে উরুগুয়েকে টপকে রেকর্ড ১৬তম ট্রফি জিততে মরিয়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে ফাইনালে জয় তুলে নিজেদের দ্বিতীয় কোপা শিরোপা ঘরে তুলতে চায় কলোম্বিয়া। এই ম্যাচই আন্তর্জাতিক ফুটবলে শেষ ম্যাচ অ্যানহেল ডি মারিয়ার।
এদিকে কোপা আমেরিকার ফাইনালের হোস্ট ফ্লোরিডার উপকণ্ঠে মায়ামির হার্ডরক স্টেডিয়াম। ৬৫ হাজার ৩২৬ জন দর্শক ধারন ক্ষমতার এই স্টেডিয়ামটি প্রস্তুত করা হচ্ছে ফাইনাল মহারণের জন্য। তবে সাজসজ্জার চেয়ে হয়তো নিরাপত্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কারণ কলোম্বিয়া উরুগুয়ে সেমিফাইনালে দর্শক আর খেলোয়াড়দের হাতাহাতির ঘটনা। ফাইনালের আগে আর্জেন্টাইন কোচ তাই দিলেন শান্তির বার্তা।
লিওনেল স্কালোনি বলেন, আমি আমার হৃদয় থেকে চাই সমর্থকরা আনন্দ করুক, উৎসব করুক। ট্রফি জয়ের উচ্ছাস হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কোন ধরের সহিংশতা কাম্য নয়। ফুটবলারদেরও দায়িত্বশীল হতে বলবো। তবে যে কেউ তার পরিবারকে বিপদে দেখলে বিচলিত হবে, এটাও স্বাভাবিক।
এবারের আসরে ফাইনালে অবশ্যই ফেভারিট আর্জেন্টিনা। নিজেদের ৩০তম কোপা আমেরিকা ফাইনাল জিতে মরিয়া মেসির দল। খুব সম্ভবত এটাই কোপা আমেরিকার শেষ ম্যাচ লিওনেল মেসির। আর ডি মারিয়াতো আগেই ঘোষণা দিয়েছেন অবসরের। তাইতো আলবিসেলেস্তারা শিরোপা ঘরে রাখতে চাইবে যে কোন মূল্যে। আর সেটা করে দেখাতে পারলে উরুগুয়ের সাথে যৌথ ভাবে সর্বোচ্চ ১৫টি কোপার শিরোপা জেতা আর্জেন্টিনা একক ভাবে সর্বো্চ্চ ১৬ ট্রফি জয়ের নতুন কির্তি গড়বে। আর লিওনেল মেসির হাতে উঠবে তৃতীয় আন্তর্জাতিক শিরোপা।
মেসিকে কেন্দ্র করে ফাইনাল জয়ের রনকৌশল সাজাবে আলবিসেলেস্তারা। তবে দ্বিতীয় স্ট্রাইকারের ভূমিকায় লাউতারো মার্টিনেজের চেয়ে জুলিয়ান আলভারেজের একাদশে থাকার সম্ভাবনা বেশি। রক্ষণ ও মাঝ মাঠের মূল একাদশ থাকাবে আগের ম্যাচের মতোই।
স্কালোনি আরও বলেন, বিশ্ব আর কোপা চ্যাম্পিয়ন বলে আমাদের মোটিভেশনের কমতি নেই। আমি গত আসরের ফাইনালের চেয়ে এবার আরও বেশি রোমাঞ্চিত। তবে নেস্তর হামেসকে কেন্দ্র করে শক্তিশালি এক কলোম্বিয়া দল গড়েছে। তবে আমরা শুরু থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নেবার চেষ্টা করবো।
অপরদিকে টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়া কলম্বিয়ার এই দলটি ফাইনাল জিততে মরিয়া হয়ে আছে। সেট পিসে দলটির সাম্প্রতিক সাফল্য ভাবাতে পারে আর্জেন্টাইদের। পুরো আসরের মতো এই ম্যাচেও কলম্বিয়ার প্রাণ ভোমরা হামেস রদ্রিগেস। রেকর্ড ৬টি অ্যাসিস্ট আর ১টি গোল করে এই নাম্বার টেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়ের রেসে সবচেয়ে এগিয়ে। এছাড়াও দুই স্ট্রাইকার জন করডোবা আর লুইস দিয়াসও আছে ভালো ছন্দে।তবে কোপায় আর্জেন্টিনার ঘরের শত্রু বিভিশন বলা হচ্ছে কলম্বিয়ার আর্জেন্টাইন কোচ নেস্তর লরেঞ্জকো।
নেস্তর লরেঞ্জো বলেন, আর্জেন্টিনা খুব বিপদজনক দল, বিশেষ করে যখন তাদের কাছে বল থাকে না। আমাদের মাতো সেট পিসেও তারাও শক্তিশালি। সম্ভাব্য সব সাফল্যই পেয়েছ দলটি। তবে আমরা মরিয়া ট্রফি জিততে। আমি আর্জেন্টাইন হলেও কলম্বিয়ার গল্পই এখন আমার গল্প।
/এমএইচআর
Leave a reply