সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারে একদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৪ জুলাই) রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, একদিনের মধ্যে কোটা সংস্কারে দৃশ্যমান উদ্যোগ না নিলে আবারও রাজপথে ফিরবেন তারা। তাছাড়া এই সময়ের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না করা হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, মূলত সংসদের নতুন অধিবেশন ডাকার জন্যই রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। সংসদে জনপ্রতিনিধিদের কোটা সংস্কারে ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানান আন্দোলনকারীরা।
এর আগে, রোববার বঙ্গভবন অভিমুখে গণপদযাত্রা শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পদযাত্রাটি গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনের দিকে রওনা হয়। পরে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১২ জনের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি নিয়ে বঙ্গভবনে যান। এ সময় রাষ্ট্রপতির পক্ষে সামরিক সচিব স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বহালে গত ৫ জুনে রায় দেন হাইকোর্ট। তবে, কোটাব্যবস্থা বাতিলে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবি তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত ৭ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করে।
এর মধ্যে গত বুধবার (১০ জুলাই) হাইকোর্টের রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতিবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আগামী ৭ আগষ্ট এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে।
কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো:
সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।
/আরএইচ
Leave a reply