কলকাতা প্রতিনিধি:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত বাংলাদেশ ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ ও বেহাল অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভবনটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি বাংলাদেশ ভবনের জাদুঘরের সংস্কারকাজ শুরু করেছে।
এদিকে, সংস্কারকাজ তদারকি করতে শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবন পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলামসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অরবিন্দ মন্ডল, বাংলাদেশ ভবনের মুখ্য সমন্বয়ক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও রবীন্দ্র ভবন মিউজিয়ামের পর্যবেক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডলের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল মতবিনিময় করে। তাদের মধ্যকার আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশ ভবনের নানা আশাব্যঞ্জক দিক। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হওয়া ভবনের মাত্র কয়েক বছরে এমন হাল কেন হবে, অভিযোগ তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই ও প্রবীণ আশ্রমবাসীরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সমাবর্তনের দিন বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর আচার্য ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সে সময় বিশ্বভারতীর জমিতে বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয় ভবনটি। গ্রন্থাগার ও সংগ্রহশালা ছাড়াও ৪৫৩ আসনের একটি প্রেক্ষাগৃহ, ৩৫০ আসনের সেমিনার হল এবং ১০৮ আসনের ক্যাফেটেরিয়া গড়ে তোলা হয় ভবনের ভেতরে।
উদ্বোধনের পরেই ভবন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশ সরকার। তারপরও বর্তমানে ভবনটি জীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভবনের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়েছে। ভবনের ভেতরের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও কার্যত বিকল। পুরো ঘটনায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
গত রোববার বিশ্বভারতীর জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিগ ঘোষ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অতিদ্রুত বাংলাদেশ ভবনের জাদুঘরের সংস্কার কাজ শেষ হবে।
/এএম
Leave a reply