আক্রমণাত্মক বক্তব্য কমলা হ্যারিসের, নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাম্প

|

নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য ৬০তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি এখন হাতি-গাধা লড়াইয়ের চূড়ান্ত পূর্বসময় পার করছে। রিপাবলিকান বনাম ডেমোক্র্যাট যুদ্ধের মাঝখানে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরে যাওয়া, কমলা হ্যারিসের আগমন। সব মিলিয়ে নতুন মোড় নিয়েছে দেশটির নির্বাচনী আবহে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার শুরুর অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো সমাবেশ করেছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। সমাবেশে প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। নভেম্বরের নির্বাচনকে তিনি সাবেক প্রসিকিউটর ও দোষী সাব্যস্ত অপরাধীর মধ্যে যে কোনো একজনকে বেছে নেয়ার লড়াই হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে সমাবেশ করেন কমলা। সেখানে সমবেত প্রায় ৩ হাজার মানুষের উদ্দেশে বক্তব্য দেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ট্রাম্প দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চান। কমলা বলেন, আমি সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। যারা নারীদের নির্যাতন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও। যে প্রতারকরা ভোক্তাদের ঠকিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছি। তাই আমি যখন বলি, আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিনি, তখন আমার কথা খেয়াল করে শুনুন। এ প্রচারে আমি আপনাদের কাছে অঙ্গীকার করছি, সপ্তাহের যে কোনো দিন আমি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমার কাছে থাকা তার তথ্যগুলো প্রকাশ করব। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অলিখিতভাবে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর জায়গাটি পাকা করে নিয়েছেন তিনি।

এদিকে বাইডেন ইস্যু শেষে কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের সামনে রীতিমত নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন। কমলার প্রার্থিতায় রিপাবলিকান নেতা অনিশ্চয়তায় পড়েছেন, বিশেষত নভেম্বরে ভোটদানের জন্য ডেমোক্র্যাটদের নতুন প্রার্থীর প্রভাব কেমন হবে, তা তারা বুঝে উঠতে পারছেন না।

ইতোমধ্যে ট্রাম্পের প্রচারাভিযান শিবিরে কমলাকে নিয়ে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার ট্রাম্পের নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ টনি ফ্যাব্রিজিও ভবিষ্যদ্বাণী করেন, হ্যারিস জনমত জরিপে ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে দিতে পারেন।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply