আগামী বছর চালু হবে প্রত্যয় স্কিম, অন্ধকারে কর্তৃপক্ষ

|

রিমন রহমান:

চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। স্ব-শাসিত, স্বায়ত্বশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই স্কিমের আওতায় থাকবে। তবে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা প্রত্যয় স্কিমের আওতায় যুক্ত না হতে অবস্থান নেয়। পেনশনের নতুন এই ব্যবস্থায় সুবিধা কাটছাঁট হবে বলে যুক্তি উপস্থাপন করে তারা।

এরপর সরকার এই অবস্থান থেকে সরে আসে। এক বছর পিছিয়ে ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে প্রত্যয় স্কিম চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু তারপরও শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের আশ্বাসের পরও কেন এই অবস্থান?

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, একটি স্বতন্ত্র উচ্চতর বেতন স্কেল ও সুপারগেটটির বিষয়টি এখনও সুরাহা হয়নি। সরকারের সাথে এ নিয়ে পাকাপোক্ত আলোচনা দরকার। বিষয়গুলো সমাধান হলে স্কিমটি গ্রহণ করতে কোনো আপত্তি নেই বলেও জানান তিনি।

পেনশন সুবিধা পেতে হলে স্ব-শাসিত, স্বায়ত্বশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের মাসিক ভিত্তিতে অর্থ জমা দিতে হবে। সেই অর্থ সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগ করবে। পরে বিনিয়োগ থেকে পাওয়া মুনাফা চাকরি শেষে মাসিক ভিত্তিতে দেয়া হবে।

সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, বর্তমানে তহবিলবিহীন যে পেনশন সিস্টেম রয়েছে সেটির আর্থিক প্রভাব বহন করার মতো অবস্থায় থাকবে না। ১৫ থেকে ২০ বছর পরে এটি টেকসই না হওয়ার কারণে একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি হবে।

অপরদিকে প্রত্যয় স্কিম সংশোধন হবে নাকি বর্তমান স্কিমই এক বছর পর কার্যকর হবে এই বিষয়ে অন্ধকারে পেনশন কর্তৃপক্ষ। তবে বর্তমান ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার বিকল্প নেই বলে বলা হচ্ছে।

সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় প্রথমে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে স্কিমটি চালু হবে বলেছিল। পরে মন্ত্রণালয় এটি এক বছর পিছিয়ে দেয়। এটি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত বলেও জানান তিনি।

সরকারের সাথে শিক্ষকদের আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কার নেতৃত্বে কার সাথে আলোচনা হবে এ বিষয়ে সরকার একটি টিম গঠন করে দেবে। প্রত্যয় স্কিমের বিস্তারিত বিবরণ বা অন্য কোনো তথ্য চাইলে তা দেয়া হবে।

এদিকে, সকল পক্ষের সাথে আলোচনার পর এই স্কিম কার্যকর করার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

/আরএইচ/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply