ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন দু’মাস আগে- পুলিশ এমন দাবি করলেও এখনও মরদেহ মেলেনি। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রমাণও করতে পারেনি খুনের বিষয়টি। খুন হওয়ার পর তদন্ত নামে বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দারা। তাদের দাবি- স্বর্ণ চোরাচালানের দ্বন্দ্বে প্রভাবশালীদের দ্বারাই খুন হন এমপি আনার। পরে আবার সামনে আনা হয় স্থানীয় রাজনৈতিক কোন্দল। বাস্তবতা হলো, এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দেয়নি পুলিশ।
অন্যদিকে, কলকাতায় উদ্ধার হওয়া লাশের খণ্ডিত অংশের সাথে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য এখনও নমুনা নেয়া হয়নি এমপি আনারের মেয়ে ডরিনের। পরিবারের সদস্যদের কলকাতায় ডাকা হলেও নানা জটিলতায় এখনও যাওয়া হয়নি সেখানে।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ বলেন, বাংলাদেশের ডিবির পার্ট নয় এটি (ডিএনএ নেয়া)। মামলাটি যেহেতু ভারতের সিআইডিতে আছে, তারা ডেকেছে; শিগগিরই ডিএনএ দিতে যাবে হয়তো। সবকিছু মিলিয়েই আমরা তদন্ত করছি। ভারতের সাথেও যোগাযোগ রাখছি।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। পরে তার খোঁজ পাওয়া না গেলে ১৮ মে ভারতে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এমপি আনারের পরিচিত ও ভারতের বরানগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। এরপর এমপি আনারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে বলে গত ২২ মে জানায় ভারতীয় পুলিশ। তারপর থেকে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারত থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে দুই দেশের পুলিশ।
/এনকে
Leave a reply