প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পরও ১৬ মাসে শেষ হয়নি সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে জাফলং সড়কের সম্ভাব্যতা যাচাই। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করতে নানা জটিলতার অজুহাত কর্মকর্তাদের। এতে ক্ষুব্ধ পর্যটন শিল্পের ব্যবসায়ী নেতারা। তবে দ্রুততম সময়ে সম্ভাবনাময় এই সড়ক নির্মাণে আশাবাদী জেলা প্রশাসক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাদা পাথরের রাজ্য সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে জাফলং ঘুরতে পর্যটকদের পাড়ি দিতে হয় ১২০ কিলোমিটার পথ। দুটি পর্যটনস্পটের দূরত্ব অনেক হওয়ায় একদিনে এগুলো ঘুরে দেখা সম্ভবও হয় না। সেজন্য দুরুত্বকে মাত্র ৩২ কিলোমিটারে নামিয়ে পর্যটন স্পট দুইটিকে যুক্ত করতে ২০২৩ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে একটি সড়কের প্রস্তাব করেন তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার। যা বাস্তবায়ন হলে একদিনে পর্যটকরা ঘুরতে পারবেন এই রুটের ২৩টি স্পট।
প্রস্তাবনা শুনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়ক নির্মাণের নির্দেশনা দেন। সেই বছরের ২৪ এপ্রিল চিঠিও পায় সড়ক জনপদ বিভাগ। এরপর থেকে অগ্রগতি শুধুমাত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর্যায়েই।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সিলেটের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা জরিপ কাজ শেষ করেছি। এই প্রকল্পের চ্যালেঞ্জগুলোও চিহ্নিত করা হয়েছে। সড়কটি নির্মাণ করতে ১৩টি সেতু ও ২০টির মতো কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে। সববিষয় মাথা রেখেই তারা কাজ করছেন।
তবে এই কর্মকর্তার মতে এ বছরই বাস্তবায়ন হবে প্রকল্পটি। তিনি আরও বলেন, দেশে একটি জটিলতা চলছে। এসব স্বাভাবিক হলে আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্যান্য কাজ শেষে সড়ক নির্মাণের মূলকাজ শুরু করতে পারবো।
অপরদিকে, প্রকল্প বাস্তাবায়নের ধীরগতিতে ক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ী নেতারা। সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তাহমিন আহমেদ বলেন, সিলেটবাসী পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। আমরা কর দেয়ায় দেশের তৃতীয় জেলা। তারপরও সিলেটের প্রতিটি প্রকল্পেই দেখি বাধা চলে আসে। এটি কাম্য নয়।
চলতি অর্থবছরেই কাজ শুরু হবে জানিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, এসব কাজ করতে বেশ কয়েকটি ধাপ পার হতে হয়। কিছু ধাপ দ্রুত হয়, আবার কিছু ধাপ একটু ধীরগতিতে হয়। শিগগিরই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। চলতি অর্থবছরেই শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
/এনকে
Leave a reply