কোটা আন্দোলন চলাকালে গেল ১৯ জুলাই ময়মনসিংহ মহিলা কলেজ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান রেদোয়ান হাসান সাগর। তিনি ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক চতুর্থ বর্ষে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন চাকরিও করতেন সাগর। কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের সাথে মিছিলে যোগ দেন তিনি।
জানা যায়, সাগর ছিলেন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিলীগ নামে একটি সংগঠনের ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। তবে আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে দাঁড়ায় সাগর। এরপর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় তার বাবা-মা। ছেলের শোকে পাথর পুরো পরিবার। ক্যানসারে আক্রান্ত মা রহিমা খাতুন ছেলের শোকে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, ছেলেটাকে এভাবে কষ্ট দিয়ে মারলো। মানুষ এতটা পাষণ্ড কীভাবে হতে পারে? তার শোক কীভাবে সইবেন সেই প্রশ্ন রাখেন তিনি।
সাগরের বাবা আসাদুজ্জামান। তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী। গুলিতে একমাত্র ছেলের এমন মৃত্যুতেও ক্ষোভে কোনো বিচার চান না তিনি। মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিচার কার কাছে চাবো? চেয়ে কী হবে? বিচার চাই না। কারণ বিচার হবে না।
ছেলের আন্দোলনে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার কাছে মনে হয়েছে এটি যৌক্তিক তাই গিয়েছে। এটিতে অপরাধ দেখি না। তার বিবেক মনে করেছে যৌক্তিক আন্দোলনে যাওয়া উচিত, সেজন্য গিয়েছিল।
/এনকে
Leave a reply