প্যারিস অলিম্পিক যেন হয়ে উঠেছে ভুলের আসর

|

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছর অলিম্পিকের আসর ঘিরে চলছে একের পর এক রাজনৈতিক বিতর্ক। ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়া, বেলারুশের অ্যাথলেটদের জাতীয় পরিচয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ না দিলেও ইসরায়েলিরা পাচ্ছে সে সুযোগ। এরইমধ্যে নানা ভুলভাল নিয়েও চলছে আলোচনা। কখনও দেশের নাম পাল্টে দেয়া, তো কখনও ভুল জাতীয় সংগীত বাজানো। সব মিলিয়ে প্যারিস অলিম্পিক যেন হয়ে উঠেছে ভুলের আসর।

প্যারিস অলিম্পিকের এবারের আসরে দক্ষিণ কোরিয়ার নামই পাল্টে দিয়েছিলেন ঘোষক। সবচেয়ে বড় আক্ষেপের বিষয় তাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো ঘোর শত্রু উত্তর কোরিয়ার নামে। এমন কাণ্ডে মহা ক্ষুব্ধ দক্ষিণ কোরিয়া শিবির। অভিযোগের পর দুঃখপ্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি।

কোরিয়ান স্পোর্ট এন্ড অলিম্পিকের প্রেসিডেন্ট লি কি হিউং বলেন, এমন কিছু প্রত্যাশা করিনি। কারণ এটা একটা দেশের নাম। কখনও ভাবতে পারিনি অলিম্পিক কমিটি একটি দেশকে ভুল নামে ডাকতে পারে।

এখানেই শেষ নয়, একদিনের ব্যবধানে আরও একবার ক্ষমা চাইতে হলো অলিম্পিক কমিটিকে। পিয়েরে মাউরয় স্টেডিয়ামে পুয়ের্তোরিকোর সাথে দক্ষিণ সুদানের পুরুষ বাস্কেটবল দলের খেলার আগে বেজে উঠলো সুদানের জাতীয় সংগীত। ভুল ধরিয়ে দেয়ার পর বন্ধ করা হয় তা। এরপর বাজানো হয় দক্ষিণ সুদানের জাতীয় সংগীত।

অথচ তাইওয়ানের বেলায় ঘটেছে উল্টো কাণ্ড। চীনের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল হিসেবে চায়না তাইপেই নামে অংশগ্রহণ করে অ্যাথলেটরা। তবে তাদের ঘোষক তাদের পরিচিতির সময় উচ্চারণ করলেন তাইওয়ান নামটিই।

তাইওয়ান কালচারাল মিনিস্ট্রির ডেপুটি মিনিস্টার সু ওয়াং বলেন, আমার প্রথম অনুভূতি অসাধারণ ছিল। আমাদের চাইনিজ তাইপেই নাম ব্যবহার করতে হয় অলিম্পিকে। কিন্তু তাইওয়ান নামটিই বিশ্বে পরিচিত। তাই যখন আমাদের প্রকৃত নামটি উচ্চারিত হলে সবাই উল্লসিত হয়ে ওঠে।

পশ্চিমা নীতির প্রতিফলনও স্পষ্ট এবারের আসরে। ইউক্রেনে হামলার জেরে বেলারুশ-রাশিয়ার অ্যাথলেটদের জাতীয় পরিচয়ে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। তবে গাজায় বর্বর আগ্রাসনের পরও নিজ দেশের ব্যানারেই খেলছে ইসরায়েলিরা।

বিতর্কের শুরু অবশ্য অলিম্পিক উদ্বোধনের বেশ আগে থেকে। অ্যাথলেটদের হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বেশ কিছুদিন চলে আলোচনা সমালোচনা। অন্যদেশের প্রতিযোগীরা ছাড় পেলেও হিজাব পরে অংশ নিতে পারেননি ফরাসি অ্যাথলেটরা।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply