দেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সহিংসতায় আটক হয়েছেন অনেকেই। স্বজনদের কান্নায় ভারি ঢাকার সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণ। একটি করে প্রিজন ভ্যান ঢোকার সাথে সাথে হুমড়ি খেয়ে পড়েন তারা। অপেক্ষা শুধুই একনজর দেখার। সৌভাগ্যবানদের অনেকে পেয়েছেন প্রিয়জনের দেখা।
হাইকোর্ট প্রাঙ্গনে দেখা যায় ছোট্ট শিশু তানহা এসেছে তার মায়ের সাথে। ১০ দিন বাবার সাথে দেখা নেই তার। এই বয়সেই তাই মায়ের হাত ধরে এসেছে সিএমএম কোর্টে। অপেক্ষা বাবাকে একনজর দেখার।
তানহার মায়ের অভিযোগ, মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১৯ জুলাই আটক করা হয় হাওলাদারকে। তার স্বামী অসুস্থ। ঠিকমতো হাটতেও পারে না। তিনি একটি ভাতের হটেল চালাতেন। ছোট্ট তানহা রাতে ঘুম ভাঙলেও বাবাকে খুঁজছে। তানহার বাবাকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে দেখাআ যায় বৃদ্ধা রমেছা বেগমকে। তার ছেলের নাম বাবু। ঘরে যখন তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী রেখে নাশকতার মামলায় আটক হয়েছেন তিনি। ছেলেকে দেখার আশায় আদালত প্রাঙ্গণে অপেক্ষা করছেন মা রমেছা।
শুধু এরাই নয়, মোহাম্মদপুরের নয়ন, গাজীপুরের এনামুলসহ অসংখ্য মানুষের পরিণতি প্রায় একই। পরিবার তাদের নির্দোষ দাবি করলেও সবাই আটক হয়েছেন সাম্প্রতিক সহিংসতার মামলায়। আটকের এই তালিকায় শিক্ষার্থীর সংখ্যাও রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ। আছেন ব্যবসায়ী, শ্রমজীবীসহ রাজনৈতিক বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা।
আদালতের আদেশ শেষে প্রিজন ভ্যানে করে আবারও আসামিদের কারাগারে নেয়া হয়। এ সময় দিনভর অপেক্ষায় থাকা স্বজনরা প্রিয় মানুষটাকে একবারের জন্য দেখতে নাম ধরে ডাকতে ডাকতে ছুটতে থাকেন প্রিজন ভ্যানের পেছনে।
/এএস
Leave a reply