হারানো সাম্রাজ্য ফিরে পেলেন সিমোন বাইলস

|

ছবি: সংগৃহীত

টোকিও অলিম্পিকের দু:স্মৃতি মাটি চাপা দিয়ে প্যারিস অলিম্পিকে রীতিমতো উড়ছেন সিমোন বাইলস। আগের আসরে স্বর্ণ জিততে না পারার হতাশা থেকে মানসিক অবসাদের কারণ দেখিয়ে নিজেকে সরিয়ে নেন সর্বকালের সেরা এই জিমন্যাস্ট। তবে তাড়না অনুভব করেন দেশকে বাড়তি কিছু দেয়ার। তাই তো চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে চনমনে হয়ে ফিরলেন নিজের হারানো সাম্রাজ্যে। প্যারিস অলিম্পিকের জিমন্যাস্টিকসের ফাইনালে বাইলস ও তার সতীর্থদের দারুণ পারফরমেন্সে স্বর্ণ জয় করে যুক্তরাষ্ট্র।

কিংবদন্তী এই জিমন্যাস্টের হাসি, উচ্ছ্বাস ও উদযাপনে মিশে থাকলো উপভোগের প্রতিচ্ছবি। আপন আলোয় ফিরতে পারার আনন্দ আরও একবার জানান দেয় কেন তিনি অন্য সবার চেয়ে আলাদা। পদক জয়ের পর নিজের প্রতিক্রিয়াও জানালেন খুবই সাবলীলভাবে।

সিমোন বাইলস বলেন, সব মিলিয়ে দারুণ রোমাঞ্চকর ছিল সবকিছু। আমরা অনেক মজা করেছি, সতীর্থদের সাথে ভালো সময় কাটিয়েছি। উপভোগ করেছি প্রতিটি মূহুর্ত। সেই সাথে দারুণ জিমন্যাস্টিকসও করেছি আমরা।

অথচ এই জিমন্যাস্টের ফেরার গল্পটা মোটেও সহজ ছিল না। টুইস্টিজ নামের একটি মানসিক অবস্থার কারণে উঁচুতে কিংবা বাতাসে ভেসে থাকার সময় কিছু সময়ের জন্য মন:সংযোগের ব্যাঘাত ঘটে। যে কারণে প্রায় দুই বছর খেলা থেকে দূরে থাকেন বাইলস। ফেরার লড়াইয়ে শঙ্কা নিয়ে প্যারিস অলিম্পিকে যাত্রা শুরু করলেও নিখুঁতভাবেই উতরে যান এই জিমন্যাস্ট।

সিমোন বাইলস বলেন, সত্যি বলতে খুবই শান্ত ছিলাম এবং অনুভব করছিলাম ফেরার জন্য তৈরি আছি আমি। ভল্টে সফলভাবে ল্যান্ড করার পর মনে হচ্ছিল আমরাই পদক জিততে যাচ্ছি। ভল্ট শেষ করার পর স্বস্তি পাচ্ছিলাম এই ভেবে যে, কোনো দু:স্মৃতি এবার আর ফিরে আসেনি।

সিমোন বাইলসকে পুরনো রূপে দেখতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এই জিমন্যাস্টের সতীর্থ জেড ক্যারি। তিনি বলেন, নিশ্চিতভাবেই এখন বলা যায় টোকিও’র আসর থেকে ভিন্ন একজন এখন বাইলস। এটা আমার সৌভাগ্য সর্বকালের সেরাদের একজনের সঙ্গে অনুশীলন করি আমি। যা কিছুই হোক না কেন আলাদাভাবে আমার হৃদয়ে জায়গা নিয়ে থাকবে বাইলস।

অলিম্পিকে এখন পর্যন্ত ৫টি স্বর্ণ জয় করে ফেলেছেন সিমোন বাইলস। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তার রয়েছে ২৩টি স্বর্ণ পদক জয়ের কীর্তি। যা তাকে বানিয়েছে সর্বকালের সফলতম জিমন্যাস্ট।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply