৩ বছরে আলুর দাম বেড়েছে দ্বিগুণ

|

প্রতিনিয়ত অবাক করছে আলুর বাজার। গত ৩ বছরে দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। রাজধানীতে আলুর সবচেয়ে বড় আড়ত কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেলো, প্রতিটি ৬৫ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩২০০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে দাম পড়ছে ৫০ টাকা। পাশেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা পাল্লা হিসাবে সে আলু বিক্রি করছেন ৫৫ টাকা দরে।

তারা জানালেন, ব্যবসায় ভাটা পড়ছে। কেননা, চড়া দামের কারণে আলু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন নিম্নবিত্তের বড় অংশ। প্রয়োজন না হলে আসছেন না মধ্যবিত্তরাও।

যদিও সপ্তাহের ৭ দিনই এই সেখানে যোগান আসে রংপুর, জয়পুরহাট, বগুড়া আর মুন্সিগঞ্জ থেকে। কারওয়ান বাজারে ডায়মন্ড কিংবা সাদা আলুর মজুদ বেশি দেখা গেছে।

এদিকে, দেশে বছরে আলুর চাহিদা প্রায় ৮০ লাখ টন। কিন্তু উৎপাদন হয় আরও বেশি। তারপরও গত ৩ বছর ধরে আলুর দাম বাড়ছে। শেষ এক বছরেই দর বেড়েছে প্রায় ৫০ ভাগ।

ব্যবসায়ীদের দাবি, আলু আবাদ ও সংরক্ষণের খরচ বেড়েছে। তার ওপর জমি থেকেই আলু কিনে নিচ্ছেন কোল্ড স্টোরেজ মালিক আর বড় বেনিয়ারা। জুন মাসে কৃষকের মজুদ ফুরালেই দাম বাড়ানোর সিন্ডিকেট করছেন তারা।

সরকারি হিসাবে, ২৫ ভাগ অপচয় ধরে দেশে আলুর উৎপাদন ১ কোটি টনের বেশি। যার ৬০ ভাগই সংরক্ষণ হয় হিমাগারে খাবার হিসেবে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের, ১০ ভাগ কৃষকের আর বাকি ৪০ ভাগ মজুতদারদের। এর বাইরে সব আলু বীজ হিসেবে রাখা হয় পরের মৌসুমের জন্য।

হিমাগার মালিকদের দাবি, সরকারি হিসাবের চেয়ে গত মৌসুমে উৎপাদন কম হয়েছে। জুন নয়, এপ্রিলেই শেষ হয়ে গেছে কৃষকের স্টক।

/এটিএম/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply