শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে নড়াইলে মাশরাফী মোর্ত্তজার বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাটের পর আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া, জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ অন্তত ২৫ নেতা-কর্মীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় কমপক্ষে ৩০ জন সাধারণ মানুষ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী আহত হয়। তবে এখন পর্যন্ত নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল সিকদারের মার্কেট ও মার্কেটের দ্বিতল ভবনে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক রূপগঞ্জ শাখার জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা আওয়ামী লীগ অফিস,নড়াইল শহরে অবস্থিত নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার ডুপ্লেক্স বাড়ি, জেলা আ’লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসের দ্বিতল বাড়ি ও একটি গাড়ি, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলুর ডুপ্লেক্স বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট ও ২টি গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নেভাতে ফোন করা হলেও তারা নিরাপত্তার কারণে আগুন নেভাতে অপারগতা প্রকাশ করে।
এ ছাড়াও, শহরের দু’টি স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর, নড়াইল পৌরসভার নৌকা আকৃতির গেট ভাঙচুর, নড়াইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাজী জহিরুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল সিকদার নীলের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস.এম পলাশের বাড়ি,সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ সিংহ পল্টুর বাড়ি, আ’লীগ নেতা মিলন খান, এ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান কায়েস, ব্যবসায়ী বুলু খান, রূপগঞ্জ টাউন ক্লাব, পোলট্রি ব্যবসায়ী বাটুল মজুমদার,ব্যবসায়ী নিপু সরকারের বাড়ি ও দেশী মদের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
ধারণা করা হচ্ছে আনন্দ মিছিলের সময় ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে।
/এএস
Leave a reply