আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি দীর্ঘদিন ধরে স্পেনের বার্সেলোনায় ছিলেন। ক্লাব ফুটবলে তার বেশিরভাগ বড় বড় অর্জনই এসেছে কাতালানদের জার্সিতে। ফলে স্পেন ছিল তার দ্বিতীয় বাড়ি। বার্সার ইবিজায় রয়েছে সেটি। ‘ইবিজা ম্যানশন’ নামের সেই বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরিবেশবিষয়ক আন্দোলনকারীরা মেসির ১১ মিলিয়ন ইউরো সমমূল্যের বাড়িটি ‘পরিবেশ দূষণে সহায়ক’ বলে দাবি তুলেছেন।
আন্দোলনকারীদের সংগঠন ‘ফিউচারো ভেজেটাল’ চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকেই মেসির ইবিজা ভিলায় ভাংচুর চালায় বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হাফিংটন পোস্ট’। এমনকি সেই বাড়ির দেয়ালে লাল-কালো রঙে প্রতিবাদী স্লোগান লিখে দেয় তারা।
সংগঠনটির দুই সদস্য একটি ব্যানার নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। যেখানে লেখা ছিল, ‘বিশ্বকে বাঁচান, ধনীদের প্রতিরোধ করুন এবং পুলিশ সরিয়ে নিন।’ তাদের মতে সরকারের নীতিমালা জলবায়ুজনিত সঙ্কট বাড়িয়ে তুলছে।
পরিবেশ আন্দোলনকারী বলেন, আমরা মেসির অবৈধ ইবিজার বাড়িতে রঙ মাখিয়েছি। এই বাড়িটি অবৈধ উপায়ে নির্মাণ করা হয়েছে ১১ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে। বাড়ি নির্মাণের সময়ও ২ থেকে ৪ মানুষ নিহত হন এবং নির্মাণসংক্রান্ত কাজের কারণে তাপপ্রবাহ বেড়েছে। পুরো জনসংখ্যার এক শতাংশ ধনী, যারা কার্বন নিঃসরণের দায়ী। সরকার এদের সহায়তা করছে।
অথচ এই সঙ্কটের জন্য অভিবাসীদের দায় দেয়া হচ্ছে যা সহিংস আচরণের মুখে ফেলেছে তাদের। ২০২২ সালে মেসি সান জোসেফের এই সম্পত্তি কেনেন। যেখানে স্ত্রী অ্যান্তোনেল্লা রোকুজ্জো এবং তিন সন্তানকে নিয়ে মেসি এখানে থাকতেন। এদিকে, স্প্যানিশ বাড়িতে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি মেসির কাছ থেকে।
/আরআইএম
Leave a reply