বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। শনিবার (১০ আগস্ট) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে।
রেফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়াদাম কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি অফ টাফ্টস ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান রেফাত আহমেদ। এরপর ২০০৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
এর আগে, শনিবার (১০ আগস্ট) দুুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেন। আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এ সময় চিঠিতে পদত্যাগের কারণ হিসেবে বেশকিছু বিষয় উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া, শনিবার বিভিন্ন সময়ে আপিল বিভাগের বাকি ছয়জন বিচারপতিও পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন:- পদত্যাগের কারণ জানালেন প্রধান বিচারপতি
পদত্যাগ করা আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি হলেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম, বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও আশফাকুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্যদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে শনিবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হতে থাকেন। সেখানে তারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেয়া শুরু করেন।
এর আগে, শনিবার সকালে সব বিচারপতির অংশগ্রহণে প্রধান বিচারপতির ডাকা সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে কীভাবে আদালত পরিচালনা করা যায় ও বিবিধ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান বিচারপতি এই সভা ডেকেছিলেন বলে জানা যায়। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, এভাবে আজ ফুলকোর্ট সভা ডাকা একটি ষড়যন্ত্র ছিল।
/আরএইচ
Leave a reply