সড়কে চোখ মেললেই নতুন বাংলাদেশের প্রতিবাদ কাব্য। রঙিন দেয়ালগুলো যেনো গণঅভ্যুত্থানের জ্বলজ্বলে উদাহরণ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীরা তাদের ‘দ্রোহের ভাষা’ ছড়িয়ে দিচ্ছে দেয়ালে-দেয়ালে।
নতুন বাংলাদেশের গল্পে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা। সাথে মুগ্ধদের ত্যাগ ও মানবিকতার ইতিহাস সাথে নিয়ে, রাষ্ট্র সংস্কারের গ্রাফিতি আন্দোলিত করবে যে কাউকে।
গ্রাফিতি আর্টে জায়গা করে নিয়েছে, আমার মুখের ভাষা কাউরে নিতে চায়, বাসায় আমার বোন আছে, আর আবু সাঈদের বীরত্বের গল্প-এমন কতো কতো কথা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও রঙিন দেশ। সেই রং ফিরিয়ে দিতেই করা হচ্ছে গ্রাফিতি। তাদের মতে, সহপাঠীদের ত্যাগ যেনো ভূলুণ্ঠিত না হয় সেজন্যই স্মৃতি ধরে রাখার চেষ্টা। সেইসাথে দেখতে চান অরাজকতা মুক্ত নতুন এক দেশ।
একজন শিক্ষার্থী বলেছেন, পরবর্তী যে সরকার দেশ পরিচালনা করতে আসবে, তারা গ্রাফিতি আর্টগুলো পড়ুক, দেখুক এবং এই জ্ঞান নিয়ে আসুক যে ‘কোন রকম স্বৈরাচার আমাদের দেশে চলবে না’।
অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের নিয়ে আসছেন গ্রাফিতি করার জন্য। বলছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে বর্তমান প্রজন্ম।
একজন অভিভাবক বলেছেন, আমরা একটা নতুন আলোর দিকে যাচ্ছি। হয়তো সেই আলোই আমাদের ভালো কিছু দেখাবে।
রং তুলির আঁচড়ে অগোছালো চিন্তাগুলোকে এক সুতোয় বাঁধছে তরুণরা। দেশে আর কোন অন্যায় দেখতে চান না তারা। প্রয়োজন হলে আবারও রুখে দাঁড়ানোর ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ‘জেন-জি’ প্রজন্ম।
/এআই
Leave a reply