দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় হয় পুরো আয়োজন। প্রথমে তিনি নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে মঞ্চে আহ্বান জানান। প্রথমে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি। পরে তাকে গোপনীয়তার শপথও পাঠ করানো হয়। শেষে শপথবাক্যের ফাইলে প্রথমে প্রধান বিচারপতি ও পরে রাষ্ট্রপতি সাক্ষর করেন।
গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ রেফাত আহমেদকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
তাতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে।
রেফাত আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশাস্ত্রে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়াদাম কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি অফ টাফ্টস ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
এরপর ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান রেফাত আহমেদ। পরে ২০০৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন তিনি।
প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) দুুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেন। চিঠিতে তিনি পদত্যাগের কারণ হিসেবে বেশকিছু বিষয় উল্লেখ করেন। এছাড়া, শনিবার বিভিন্ন সময়ে আপিল বিভাগের বাকি ছয়জন বিচারপতিও পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করা আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি হলেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম, বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম।
এর আগে, এদিন প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্যদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এসে জড়ো হতে থাকেন। সেখানে তারা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান দেন।
শনিবার সকালে সব বিচারপতির অংশগ্রহণে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা ডেকেছিলেন। পরে তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, শনিবার এভাবে ফুলকোর্ট সভা ডাকা একটি ষড়যন্ত্র ছিল।
/আরএইচ
Leave a reply