ইউক্রেন ছাড়িয়ে রণক্ষেত্রের কেন্দ্র এখন রাশিয়ার ভূখণ্ড

|

ইউক্রেন ছাড়িয়ে এখন রণক্ষেত্র রাশিয়ার ভূখণ্ডও। রুশ অঞ্চল কুরস্কে ঢুকে গত পাঁচদিন ধরে হামলা চালাচ্ছে কিয়েভ সেনারা। প্রবেশ করেছে রাশিয়ার ১০ কিলোমিটার ভেতরে, যা ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে অভ্যন্তরে ইউক্রেন সেনাদের প্রবেশ।

গত মঙ্গলবার, আকস্মিক হামলা চালিয়ে রাশিয়ার বেশ কয়েকটি এলাকার দখল নেয় কিয়েভ সেনারা। এমনকি একটি গ্যাস ক্ষেত্রও দখলের দাবি করে। গোটা অঞ্চল থেকে ৭৬ হাজারের বেশি নাগরিককে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় মস্কো প্রশাসন। হঠাৎ আক্রমণে, প্রথমদিকে কিছুটা কোনঠাসা হলেও, এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। কুরস্ক ছাড়াও ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী বেলগোরদ, ব্র্যায়ান্সক অঞ্চলেও একযোগে শুরু করেছে ব্যাপক অভিযান।

ট্যাংক সাঁজোয়া যানের পাশাপাশি সুখোয়- 34 যুদ্ধবিমান ও ইস্কান্দার ট্যাকটিক্যাল মিসাইল দিয়েও শত্রুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে মস্কো। ২২টি ট্যাংক, ২০টি সাঁজোয়া যান ও ত্রিশের বেশি ড্রোনসহ এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ১৪০টি সামরিক সরঞ্জাম ধংসের দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মস্কোর দাবি, অভিযানের সময় প্রাণ গেছে ১১২০ জন কিয়েভ সেনার।

এদিকে, শনিবার প্রথমবার রুশ ভুখণ্ডে অভিযানের কথা স্বীকার করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। তার দাবি, শত্রুদের চমকে দেয়া এই হামলায় বেশ সফলতাও পাচ্ছে তার সেনারা।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেছেন, আমাদের সেনারা একদিকে দেশ রক্ষা করছে অন্যদিকে দখলদারদের ধ্বংস করছে। কমান্ডার ইন চিফ আমাকে এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি রিপোর্ট দিয়েছে। আমরা এখন শত্রুদের ভূখণ্ডেও যুদ্ধকে ঠেলে দিয়েছি। তাই প্রতিটি ইউনিটের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা প্রমাণ করেছে, নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষার পাশাপাশি তারা শত্রুদের ওপরও আক্রমণের সক্ষমতা রাখে।

এরইমধ্যে কিয়েভকে প্রতিহতে গাইডেড বোমার ব্যবহারও শুরু করেছে পুতিন সেনারা। প্রতিশোধ নিতে আরও আগ্রাসী হবে রাশিয়া- এমন শঙ্কায় কুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবসারত ইউক্রেনের নাগরিকরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply