ফরিদপুর প্রতিনিধি,
এবার ফরিদপুর সদর উপজেলা ভূমি অফিসের অনিয়ম দূর্নীতি ধরলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। ওই অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ রাইসুল ইসলামের বিরুদ্ধে সেবা গ্রহিতার নিকট ঘুষ চাওয়ার প্রমান পাওয়া যায় ছাত্রদের পরিদর্শনের সময়। তার এ কাজের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে ভুক্তভোগী মো. রাতুল শেখ।
এর আগে ফরিদপুরের ভুমি অফিসগুলোতে ঘুষ লেনদেনের ভিডিওসহ প্রতিবেদন প্রচার করেছিল যমুনা টেলিভিশন যা ব্যাপক আলোচিত হয় জেলাজুরে। শহরের গোলালচামট মোল্লাবাড়ি সড়কের মো. সোহেল শেখের ছেলে রাতুল শেখ মঙ্গলবার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সম্রাট হোসেনের কাছে এ অভিযোগ প্রদান করেন। এর আগে ভুক্তভুগীর কাছে ঘুষ দাবী করলে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সহায়তা নেন।
রাতুল শেখ বলেন, আমি আমার জমির নামজারির জন্য প্রায় ১ মাস ধরে অফিসের এ টেবিল থেকে অন্য টেবিলে ঘুরছি। এরকম আরো কয়েকজন একই কাজের জন্য অফিসের টেবিল থেকে টেবিলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ কোনো কথা বলে না। অফিসের পিয়নরা বলে আমার কাছে দেন আমি কাজ করে দেই। তাদের কাছে গেলে তারা বলে আরো কিছু অতিরিক্ত টাকা লাগবে কাজ হয়ে যাবে তাহলে। তবে আমি টাকা দিতে রাজি হইনি।
তিনি আরও বলেন, এই অফিসের বিভিন্ন কর্মচারীর বিরুদ্ধে র্দীঘদিন ধরেই ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন আজ অফিসে একই কাজের জন্য ১৫তম বার গেলাম। আজ অফিসের সার্ভেয়ার মো. রাইসুল ইসলামের নিয়োগকরা দালাল আমার কাছে এসে কিছু অতিরিক্ত চাঁদা দাবী করে। পরে ছাত্র-জনতার সহায়তায় জেলা প্রশাসক বরাবল লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সার্ভেয়ার রাইসুল একজন প্রতিবন্ধী যুবককে নিয়োগ দিয়েছেন, রাইসুলের কাছে কোন কাজ নিয়ে গেলে, আগে যোগাযোগ করতে হয় রাইসুলের নিয়োগ করা ওই যুবকের সাথে। সেই মুলত ঘূষের কন্টাক্ট করেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সম্রাট হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, আমরা একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সেটা জেলা প্রশাসক বরাবর পঠানো হয়েছে। আপনার অফিসে এমন অনৈতিক কর্মকান্ড চলে , আপনি কোন ব্যবস্থা নেন নি কেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে এসিল্যান্ড জানান তিনি জানতেন না।
/আরআইএম
Leave a reply