মঙ্গলগ্রহে মিলেছে পানির সন্ধান

|

আরও প্রবল হলো মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা। সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহটি থেকে এর আগে নানা ধরনের খনিজ পদার্থ পাওয়া গেলেও এবার মিলেছে পানির সন্ধান। এক-দুই ফোটা নয় বরং বিশাল মহাসাগর পরিমাণ জলের আধার রয়েছে মঙ্গলগ্রহে। এমনটাই বলছেন মার্কিন গবেষকরা।

অবিশ্বাস্য হলেও, বিস্ময়কর এ তথ্য প্রকাশ করেছে, মার্কিন সংস্থা- ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস। নাসার মার্স ইনসাইট ল্যান্ডারের ডেটা ব্যবহার করে পাওয়া গেছে এ তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলপৃষ্ঠের সাড়ে ১১ থেকে ২০ কিলোমিটারের গভীরে রয়েছে বিশাল এই জলাধার। লুকিয়ে আছে ভূগর্ভস্থ শিলার ফাটলে। যা, জমা হয় বিলিয়নখানেক বছর পূর্বে। সুবিশাল এই পানির স্তরে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা প্রবল, এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের।

ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার সহকারী অধ্যাপক ভাসান রাইট বলেন, মঙ্গলগ্রহে পানির অস্তিত্ব পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পানি গ্রহের বিবর্তনের সবকিছুকে প্রভাবিত করে। আমরা জানি যে, জীবন ধারণের জন্য একটি মূল উপাদান পানি। যার মানে হলো সেখানে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ থাকতে পারে।

এর আগে, লাল গ্রহটিতে জমে থাকা পানির সন্ধান মিললেও এবারই প্রথম তরল পানির খবর পাওয়া গেলো। মঙ্গলগ্রহের যে বিরান-রুক্ষ পৃষ্ঠের সাথে আজ বিশ্ব পরিচিত; ঠিক৩শ’ কোটি বছর আগে তেমন ছিল না এটি। তখন দেখতে অনেকটাই পৃথিবীর মতো ছিলো গ্রহটি। ছিল নদী, হৃদ খুব সম্ভবত সমুদ্রও। যা শুকিয়ে গেছে।

এ প্রসঙ্গে ভাসান রাইট বলেন, প্রায় ৩ বিলিয়ন বছর আগে অনেকটাই পৃথিবীর মতোই ছিল মঙ্গলগ্রহ। কিন্তু এখন সেটি নেই। এখন গ্রহটি শুকনো। তাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, পানি কোথায়? সেগুলো কোথায় গেলো? এজন্যই এই গবেষণা।

মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের জন্য ২০১৮ সালে সেখানে ইনসাইট নামক ল্যান্ডার পাঠায় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা- নাসা। যার সিসমোমিটারের সাহায্যে রেকর্ড করা হয় গ্রহটির ভূকম্পন। ২০২২ সালে চার বছরের দীর্ঘ মিশন শেষ করে ল্যান্ডারটি।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply