ভারতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরতে চান ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার লড়াইয়ে থাকা পেসার এবাদত হোসেন। তবে সেরা ছন্দে ফিরতে তাড়াহুড়ো না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ঠরা। লম্বা এই বিরতিতে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে কাজ করছেন সিলেটের এই পেসার। সেই সাথে বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামসের পরামর্শে কাজ করছেন বোলিং নিয়েও।
গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আম্পায়ারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পিচের ওপর পড়ে যান এবাদত। প্রাথমিকভাবে বোঝা যায়নি তার চোটের তীব্রতা। মনে হচ্ছিল, কিছুদিন পরই ফিরতে পারবেন মাঠে।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে নিজের সবশেষ অবস্থা জানান এবাদত। তিনি বলেন, আজকে একটু রানিং করলাম, ফিটনেসের কাজ করলাম। ব্যাটিং করেছি, বোলিং করে এলাম এখন। প্রায় এক-দেড় মাস ধরে বোলিং শুরু করেছি। বোলিংয়ের মাত্রা ৭০-৮০ ভাগ ছিল। এখনও তেমনই আছে। ট্রেইনার আমাকে একটা পরিকল্পনা দিয়েছেন, শেষ পর্যায়ে কীরকম বোলিং করতে হয়, কেমন ফিটনেস রাখতে হয়। সেটাই অনুসরণ করছি। বোলিংয়ের মাত্র এখনও ৮০ ভাগে আছে। আশা করছি, আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে যেন পুরো মাত্রায় বোলিং করতে পারি।
আপাতত দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে গেছে বাংলাদেশ। এরপর দেশে ফিরে দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের। পাকিস্তান সফর মিস করার পর ভারত সিরিজের দিকেই তাকিয়ে এবাদত। টাইগার এ পেসার বলেন, আমার লক্ষ্য হলো, যেন ভারতের সঙ্গে খেলতে পারি। ভারত সফরে যেহেতু দুইটা টেস্ট ম্যাচ আছে। এটা আসলে নির্ভর করবে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে ফেরা (আমার জন্য) কেমন হবে। কতটুকু ইতিবাচক হবে।”
এবাদত আরও বলেন, চেষ্টা করছি। এর আগে যদি টেস্ট ফিটনেসটা পেয়ে যাই… আমার মনে হয়, নিজেদের মধ্যে একটা চার দিনের ম্যাচ খেলার একটা সুযোগ আছে। ওখানে খেলার সুযোগ হলে, নিজেকে মূল্যায়ন করতে পারব যে কতটুকু ফিট আছি টেস্ট খেলার জন্য। দেখা যাক, আশা আছে।
২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর ওই সংস্করণে খেলেননি ইবাদত। তাই ভারত সফরের টি-টোয়েন্টিতে তার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলাই যায়। এ কারণেই হয়তো টেস্ট সিরিজ দিয়ে ফেরার কথা ভাবছেন গতিময় পেসার। এবাদত জানালেন, তার মতো টিম ম্যানেজমেন্টেরও ভাবনায় ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে ফেরানোর কথা।
তিনি বলেন, এটা (টেস্ট দিয়ে ফেরার চ্যালেঞ্জ) নিয়েই ম্যানেজমেন্ট চিন্তা করছে যে, কোন সংস্করণ দিয়ে ফেরাটা আমার জন্য ভালো হবে। সেটাই বললাম, ভারত সফরের আগে যদি নিজেদের মধ্যে ৪ দিনের ম্যাচ খেলতে পারি, তাহলে আমি মূল্যায়ন করতে পারব কতটুকু ফিট আছি টেস্ট খেলার জন্য।
চোটের ছিটকে যাওয়ার আগে পেস বিভাগে বাংলাদেশের বড় নির্ভরতা ছিলেন ইবাদত। বিশেষ করে ওয়ানডেতে মাঝের ওভারগুলোতে নিয়মিতই উইকেট এনে দেওয়ার কাজ করছিলেন তিনি। ২০২২ ও ২০২৩ সালে ১২ ম্যাচে তিনি নেন ২১ উইকেট। একই সময়ে ১০ টেস্টে তার শিকার ৩১টি।
দীর্ঘ সময় পর মাঠে ফিরে সেই পারফরম্যান্সকে ছাড়িয়ে যেতে চান তিনি। এবাদত বলেন, স্বাভাবিকভাবেই যেহেতু এক বছর ধরে বাইরে, আমার বোলিং ছন্দটা একটা বড় বিষয়। চেষ্টা করছি যেন, ছন্দটা… যেই মাত্রায় বোলিং করছি এখন, আমার খুব ভালো লাগছে, ছন্দটা খুঁজে পাচ্ছি। এটাই ইতিবাচক দিক। এই সময়ে আমি ব্যাটিং, ফিল্ডিং নিয়েও কাজ করছি। খুব ভালো লাগছে।
/আরআইএম
Leave a reply