চাঁদাবাজি বন্ধ হলেও কেন কমছে না চালের দাম?

|

চালের বাজারে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য থামানো যাচ্ছে না। বিক্রেতাদের অভিযোগ, পরিবহনসহ বিভিন্ন স্তরে চাঁদাবাজি বন্ধ হলেও সুফল মিলছে না। বরং সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দাম। তারা বলছেন, নানা অজুহাত আর কৌশলে অযৌক্তিক দামে পণ্য সরবরাহ করছে গুটিকয়েক করপোরেট প্রতিষ্ঠান। দ্রুত সিন্ডিকেট ভেঙে বাজার সহনীয় করার দাবি ক্রেতাদের।

কো্টা সংস্কারের দাবিতে, প্রায় এক মাস ধরে চলা আন্দোলনে দেশজুড়ে বিরাজ করে অস্থিরতা। ব্যহত হয় পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা। উৎপাদনে পড়ে নেতিবাচক প্রভাব। ফলশ্রুতিতে, মিলগেট-পাইকার থেকে শুরু করে খুচরা পর্যায়ে বেড়ে যায় চালের দাম।

পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হলেও, দাম কমার আভাস নেই। বরং নাানা অজুহাতে দাম বৃ্দ্ধি অব্যাহত আছে। খুচরা বাজারে, কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে স্বর্ণা মিলছে ৫৪ টাকায়, মাঝারি মানের চাল বিআর-২৮ ৫৮-৬০ টাকায়। আর ৭২ থেকে ৮০ টাকার নিচে নেই সরু চাল। এমন অসহনীয় দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা।

ধানের বাম্পার উৎপাদন হয়েছে। চালের মজুদও সন্তোষজনক। তারপরও দফায় দফায় বাড়ছে দাম। পাইকারি বিক্রেতাদের অভিযোগ, গত সরকারের আনুকূল্যে থাকা ১০-১২টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছে এখনো জিম্মি চালের বাজার। প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছেমত দাম নির্ধারণ করে ভোক্তার পকেট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে শত শত কোটি টাকা।

দাম বৃদ্ধির জন্য ব্যাংকের তারল্য সংকটকেও দায়ী করছেন মিলাররা। তাদের দাবি, ব্যাংক থেকে চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পাওয়ায়, ধান কিনতে পারছে না তারা। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে উৎপাদনে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র তথ্য অনুযায়ী, মাসের ব্যবধানে চালের দাম ৩ শতাংশ।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply