বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা সরকারের সকল মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের ওপরই জনরোষ তৈরি হয়েছে। যার বাইরে নন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলতে দীর্ঘসময়ের জন্য দেশের বাইরে যান সাকিব। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তান সফরে থাকা বাংলাদেশ দলে যোগ দেন তিনি। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানালেন, টেস্ট সিরিজের পরই সাকিবকে নিয়ে পলিসিগত সিদ্ধান্ত হবে।
বুধবার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে অবধারিতভাবে সাকিব প্রসঙ্গ উঠে আসে কয়েকবার। ফারুকের কাছে সাকিবের প্রশ্ন আসতেই বাংলাদেশ-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজের প্রসঙ্গও চলে এসেছে।
বিসিবির নতুন সভাপতি বলেন, সাকিবের ব্যাপারে পলিসি কী হওয়া উচিত, সেটা বোর্ডের সঙ্গে আলাপ করবো। সাকিব এখন যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থা সে চালিয়ে যেতে পারবে কি না বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করবো। আমাদের এখন দু’টি টেস্ট ম্যাচ আছে। তারপরে কী হবে, সেটা তখন বোর্ডের একটা পলিসির ব্যাপার হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধান নির্বাচক একটা ইন্টারভিউ দিয়েছে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে, তাকে যদি বোর্ড থেকে বলে দেয়া হতো ওকে নিওনা, তাহলে এটা পলিসি ম্যাটার হতো। সে দায়িত্বটা বোর্ডের ওপর দিয়ে দিতো, সেটা (পলিসি) যেহেতু ছিল না, সাকিব ঢুকে গেছে।
ক্রিকেটারদের নিয়ে আরও কিছু গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসবে। সিরিজ কিংবা সফর চলাকালীন একজন ক্রিকেটার কী করতে পারবেন আর কী করতে পারবেন না সে ব্যাপারে থাকবে সু-নির্দিষ্ট নির্দেশনা। এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, খেলোয়াড়দের ব্যাপারে কিছু নিয়ম যোগ করা হবে। তারা কি করতে পারবে, কি করতে পারবে না, এটা আমি আজকেই এখানে ঢোকার আগে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলাপ করেছি।
তিনি আরও যোগ করেন, বিশেষ করে সফর চলাকালীন সময়, সফরের আগে পরে ক্রিকেটাররা কি করতে পারবে, কি পারবে না, এসব থাকবে। আপনার যদি লিখিত থাকে, সফর চলাকালীন সময় আপনি কোন বিজ্ঞাপন করতে পারবেন না। তাহলে এটার জন্য আপনার কাছে কেউ আসবে না। এটা যদি পরিস্কার লেখা থাকে, তাহলে সুবিধা হবে।
/আরআইএম
Leave a reply