‘কোভিডের মতো প্রাণঘাতী নয় এমপক্স’

|

কোভিডের মতো প্রাণঘাতী নয় এমপক্স- বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যথাযথ ব্যবস্থা নিলে একেবারেই নির্মূল করা সম্ভব এই রোগ।রোগীর সংস্পর্শে ছড়ায় বলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোয়ারিন্টিনে রাখারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অবশ্য আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলেই মত তাদের।

আর্জেন্টিনায় কোয়ারিন্টিনে রাখা হয়েছে ইনা লোতে নামের এই কার্গো জাহাজটিকে। কারণ, জাহাজটির এক ক্রুয়ের শরীরে দেখা দিয়েছে এমপক্সের উপসর্গ। লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রওনা হয়েছিলো ব্রাজিলের সান্তোস থেকে।

যাত্রাকালে ভারতীয় ঐ ক্রুয়ের মুখে ও বুকে লক্ষ্য করা যায় সিস্টের মতো কিছু ফুসকুরি। সাথে সাথেই তাকে আলাদা করে ফেলা হয় বাকিদের থেকে। খবর পাওয়া মাত্র জাহাজটিকে পারানা নদীতে কোয়ারিন্টিনে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। যদিও তিনি এমপক্সেই আক্রান্ত কিনা- তা এখনও নিশ্চিত নয়।

সনাক্ত হওয়ার পর এবারই প্রথম আফ্রিকার বাইরে ছড়াতে শুরু করেছে এমপক্স। সংক্রামক হওয়ায় অনেকেই এটিকে তুলনা করছেন কোভিডের সাথে। সেই সাথে ছড়াচ্ছে আতঙ্কও। দক্ষিণ আফ্রিকার এমপক্স ব্যবস্থাপনা দলের কো-চেয়ার হেলেন রিস বলেন, ১৯৭০ এ প্রথম এমপক্সের আবির্ভাব হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৫০ বছরেও এই রোগের ওপর ভালো কোনো রিসার্চ নেই। এখনও এটি কীভাবে ছড়ায়, উপসর্গগুলো কী বা উপসর্গ ছাড়া কোনো কেস আছে কিনা- এসব ব্যাপারে আমাদের ভালো জানাশোনা নেই।

তবে এটি কোভিডের মতো প্রাণনাশক নয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আতঙ্কিত না হয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিলে খুব সহজেই এর নিরাময় সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হান্স ক্লিউজ বলেন, এমপক্স নতুন কোভিড নয়। আমরা কি বিশ্বব্যাপী এমপক্স নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মূল করার জন্য নিয়মানুবর্তীভাবে এগোবো? নাকি কোভিডের মতো আতঙ্ক ও অবহেলার আরেকটি চক্রে প্রবেশ করবো? আমরা এখন এবং আগামী বছরগুলোয় কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবো তার উপরই নির্ভর করবে এই রোগের নির্মূল সম্ভব কিনা।

চলতি বছরের শুরু থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত এমপক্সে আক্রান্ত হয়েছে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। গেলো সেপ্টেম্বর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ক্লেড 1b শনাক্তের পর থেকেই বেড়ে চলেছে সংক্রমনের হার।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply