ছাত্র আন্দোলন ঘিরে কেন আলোচনায় ছিলেন মানিক

সিলেট সীমান্ত থেকে বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) অবৈধভাবে পারাপারের সময় তাকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বেশ কয়েকবছর ধরেই নানা কর্মকাণ্ডে বিতর্কিত ছিলেন মানিক। তবে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকেই টকশোতে উপস্থাপিকার সাথে খারাপ আচরণ এবং উচ্চবাচ্য করার জন্য পুনরায় আলোচনায় আসেন তিনি।

মূলত, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে আয়োজিত টকশোতে আলোচক হিসেবে অংশ নেন সাবেক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। আলোচনার একপর্যায়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মেজাজ হারিয়ে সঞ্চালকের ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। পুরো অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকবার উপস্থাপিকার ওপর নিজের ক্ষোভ ঝাড়েন এবং উচ্চবাচ্য করেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি অনুষ্ঠান শেষে স্টুডিও ছাড়ার আগে উপস্থাপিকাকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে আখ্যা দেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেও আখ্যা দেন তিনি। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

পরে উপস্থাপিকাকে রাজাকারের বাচ্চা বলে সম্বোধন ও অশালীন আচরণের ঘটনায় গত ১২ আগস্ট লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন সাবেক এই বিচারপতি। একইসঙ্গে জনগণের কাছেও ক্ষমাও চান তিনি।

লিগ্যাল নোটিশের জবাবে সাবেক বিচারপতি মানিক লিখেন, ‘তিনি একজন হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিসের রোগী। টক শোর দিন তাকে অনেক লম্বা পথ হেঁটে প্রোগ্রামে অংশ নিতে হয়েছিল। ফলে তার ব্লাড সুগার নেমে যায় ও ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়। একইসঙ্গে তিনি প্রচুর ক্লান্তবোধ করছিলেন। যার কারণে তিনি তার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি তার এরূপ আচরণের জন্যে উপস্থাপিকার কাছে গভীরভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।

/এএস