স্টাফ করেসপনডেন্ট, মুন্সিগঞ্জ:
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বেড়েছে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া পয়েন্টে মেঘনা নদীর পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৮টায় গজারিয়া মেঘনা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে ৪.৭৭ মিটার উচ্চতায়। গজারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার উচ্চতা ৪.৫৫ মিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমা থেকে ২২ সেন্টিমিটার বেশি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।
পূর্বাভাসে দেখা যায়, দুপুর ও বিকালে পানি প্রবাহের উচ্চতা কমবে। দুপুর ৩টায় বিপৎসীমার মাত্র ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে পানি। তবে সন্ধ্যায় আবারও বাড়বে পানির ঢল। সন্ধ্যা ৭টায় পানি প্রবাহিত হবে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে।
এদিকে জেলার ধলেশ্বরী নদীর রিকাবিবাজার, পদ্মা নদীর ভাগ্যকূল ও মাওয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে। গজারিয়ায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, উপজেলায় বন্যার বড় ধরনের প্রভাব পরেনি। তবে নদী সংলগ্ন নিচু এলাকার মানুষের বিপত্তি কিছুটা বেড়েছে।
উপজেলার ইসমানিচর এলাকায় ডুবেছে কিছু নিচু রাস্তাঘাট। তবে পানি বৃদ্ধির খবর আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণ চলছে। পানি ওঠা-নামা করছে। তবে ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ার মত এখনও আশঙ্কা নেই। অভ্যন্তরীণ খালের পানি কিছু কম উচ্চতায় রয়েছে এখনও।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার জানান, পানি বাড়লেও এখন পর্যন্ত বড় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। ইসমানিচর এলাকায় কিছু রাস্তাঘাট ডুবেছে। তবে ঘরবাড়ি উচু থাকায় কোন ঘরবাড়ি ডুবেনি। ১০টি পানিবন্দী পরিবারকে ত্রাণ সহযোগিতা করা হয়েছে। ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে, সেইসাথে পর্যবেক্ষণ চলছে।
/এমএইচআর
Leave a reply