ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আর্লিং হালান্ডের হ্যাটট্রিকের সুবাদে বড় জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। শনিবার (২৪ আগস্ট) ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ৪-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে ইপ্সউইচ টাউনকে হারায় পেপ গার্দিওলা শিষ্যরা। দলের হয়ে বাকি গোলটি করেন কেভিন ডি ব্রুইন। সফরকারীদের হয়ে একমাত্র গোল করেন স্যামি স্মডিক্স।
নিজেদের মাঠে খেলার শুরুতেই আচমকা গোল খেয়ে বসে সিটিজেনরা। ম্যাচের ৭ মিনিটের সময় বক্সের বাইরে থেকে আসা স্যামি স্মডিক্সের শট সিটি গোলকিপার এডারসনের পায়ে লেগে ঢুকে যায় গোলপোস্টে। এতেই ম্যাচের লিড নেয় সফরকারীরা।
তবে সমতায় ফিরতে এমনকি পাল্টা লিড নিতেও দেরি করেনি স্বাগতিকরা। শুরু ধাক্কা সামলে ১২ থেকে ১৬ মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সিটি। ম্যাচের ১২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা টানেন হালান্ড।
ঠিক দুই মিনিট পর গোলরক্ষকের ভুলে দ্বিতীয় গোল হজম করে ইপ্সউইচ। সতীর্থের ব্যাকপাস পেয়ে ক্লিয়ার করতে অনেক দেরি করে ফেলেন গোলরক্ষক মারিক। তার কাছ থেকে বল কেড়ে নেন সাভিনিয়ো। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে ফাঁকা জালে বল পাঠান ডি ব্রুইনে। এগিয়ে যায় সিটি।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন হালান্ড। মাঝমাঠ থেকে উঁচু করে বল বাড়ান ডে ব্রুইনে, গোলরক্ষক পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসায় হেড করে বল তার পাশ দিয়ে বাম দিকে নিয়ে দুরূহ কোণ থেকে হাফ ভলিতে জালে পাঠান নরওয়ের তারকা।
৩-১ লিড নিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধে দুদলই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে। নির্ধারিত সময় শেষ হবার দুই মিনিট আগে আরেকটি চমৎকার গোলে নিজের কাঙ্ক্ষিত হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন হালান্ড। সিটির জার্সিতে হলান্ডের এটি দশম হ্যাটট্রিক। যার সাতটিই ইপিএলে।
উল্লেখ্য, ম্যাচের বিশেষ আকর্ষণ ছিলো ৭১ মিনিটে গুন্দোয়ানের নামা। বার্সেলোনায় এক বছর কাটিয়ে শুক্রবার সিটিতে ফেরেন সদ্য আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেয়া এই জার্মান মিডফিল্ডার।
/এমএইচআর
Leave a reply