মায়ানমারের জঙ্গলে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তরুণরা

|

মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত ‘বামার পিপলস লিবারেশন আর্মি’র ভলান্টিয়ার সদস্যরা। গহীন বাঁশবনে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই দুর্নিবার তরুণ প্রজন্ম। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যের সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির প্রশিক্ষণের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ মাস। ট্রেনিংয়ে কঠোর শারীরিক ও মানসিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি যুদ্ধের কলাকৌশল শেখাচ্ছেন চৌকস প্রশিক্ষকরা। সূর্য ওঠার আগেই শুরু হয় ট্রেনিং। চলে টানা ১৬ ঘণ্টা।

সময় যতই গড়াচ্ছে, মিয়ানমারে সামরিক জান্তার শাসনের অবসান ঘটিয়ে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলছে বিভিন্ন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে দলে দলে যুক্ত হচ্ছেন দেশটির সব পেশার নাগরিক।

বামার পিপলস লিবারেশন আর্মির ডেপুটি পলিটিকাল অফিসার ইয়েত ওয়েই লিন বলেছেন, সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে তরুণ প্রজন্মরাই সবচেয়ে বেশি অংশ নিচ্ছে। ওদের দৃঢ় মনোবল আমাকে মুগ্ধ করছে।

গেলো বছর অক্টোবরে, মিয়ানমারের সামরিক শাসন উৎখাতে ‘অপারেশন ১০২৭-এর নেতৃত্ব দেয় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। এরপর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিদ্রোহী ও সেনাদের মাঝে চলছে তুমুল লড়াই।

সেনা শাসনের দীর্ঘায়ুতে সাধারণত সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে জনপ্রিয়তা। যা স্পষ্টত মিয়ানমারের জান্তা সরকারের নেই। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, স্বৈরশাসনের পতন না ঘটিয়ে থামতে নারাজ গণতন্ত্রকামীরা।

মিয়ানমারের সংঘাত ও মানবাধিকার বিষয়ক বিশ্লেষক ড্যাভিড স্কট ম্যাথিসন বলেছেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের মাঝে স্বাধীনতার আগুন জ্বলছে। জান্তা বাহিনী নিরীহ মানুষদের খুন করে এই আগুনে ঘি ঢালার কাজ করছে। ওরা এমন স্বাধীনতা চায় যেখানে জান্তাদের কোন অস্তিত্ব থাকবে না। প্রতিরোধ কয়েকগুন বেড়ে গেছে। এ উন্মাদনা স্বাধীনতার।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই উত্তপ্ত মিয়ানমার। বিগত ৩ বছরে, সেনাদের সাথে বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজারের বেশি সাধারণ মানুষ।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply