দেশজুড়ে নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি

|

দেশজুড়ে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে রাজশাহী নগরীর কয়েকটি স্থানে শোভাযাত্রা বের করা হয়। সকালে নগরীর সাহেব বাজারের শ্রীশ্রী গোপীনাথ ও লক্ষ্মীনারায়ণ দেব মন্দির থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিভিন্ন মোড় প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি হুনুমানজিউর আখড়ায় গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে চন্ডিপাঠ ও গীতা, যজ্ঞের মধ্যদিয়ে মূল আনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে দেশের বন্যা পরিস্থিতির উত্তরণে সম্মিলিত ভাবে প্রার্থনা করেন ভক্তরা।

সিলেটে অনাড়ম্বর আয়োজনে পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব জন্মাষ্টমী। সকালে নগরের মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় উৎসব উদ্বোধন করেন সাবেক সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন পরিষদসহ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ।

পরে একটি শোভাযাত্রা নগরের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় বন্যার্তদের জন্য সহযোগিতা তোলা হয়।এছাড়াও মন্দির ও উপাসনালয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি পালন করা হচ্ছে। বন্যার্তদের সহায়তায় এ বছর উৎসবের ব্যয় উৎসর্গ করেছেন সিলেটের বেশির ভাগ আয়োজক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে জন্মাষ্টমী উদযাপিত হয়েছে। সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে হরিনাম সংকীর্তনসহ মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এতে বিভিন্ন বয়সী ভক্তরা অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারও আনন্দময়ী কালি বাড়িতে এসে শেষ হয়।

এর আগে, ধর্মীয় আলোচনা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও চলমান বন্যায় দুর্গতদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

টাঙ্গাইলেও পালিত হয়েছে শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। এদিন বেলা ১১টার দিকে পৌর শহরের বড় কালিবাড়ী প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বড় কালিবাড়ী এসে শেষ হয়।

নেত্রকোণায় বন্যার্তদের সাহায্যার্থে উৎসব ব্যয় কমিয়ে জন্মাষ্টমী উদযাপিত হয়েছে নানা আয়োজনে। শহরের নরসিংহ জিউর আখড়াসহ জেলার ১০ উপজেলায় এই আয়োজন করে উদযাপন কমিটি। সকালে জেলা শহরের নরসিংহ জিউর আখড়া মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণের পুজার্চনা ও আলোচনা সভার পরে বের হয় শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারো মন্দির প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। কর্মসূচিতে পুজার্চনা, গীতাপাঠ, প্রার্থনা, শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply