আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাফরুল্লাহ সাহেব, আ স ম আবদুর রবের আগে রাজনৈতিক ভ্যালু কেমন ছিলো আর এখন কেমন আছে সেটার ব্যাপারে কথা বলবো না। কিন্তু তাদের যে রাজনৈতিক চলাফেরা ও অবস্থান তা বাংলাদেশের মানুষের কাছে সন্দেহজনক। তারপরও দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে আওয়ামী লীগ সবকিছু মেনে নিচ্ছে।
আজ সন্ধ্যা ৬টায় যমুনা টেলিভিশনে প্রচারিত টকশো ‘রাজনীতি’তে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। টকশোটি সঞ্চালনা করেন রোকসানা আনজুমান নিকোল।
এসময় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে আলোচনায় ডেকেছেন। আরো অনেক দলকে আলোচনা ডাকেন। আলোচনায় তারা যে যুক্তি দিয়েছিলো সেগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খন্ডন করেছিলেন। তিনি বলেছেন, আলোচনার দরজা খোলা আছে। এর মাধ্যমে নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ বিষয়ে ওনার সদিচ্ছা প্রকাশ পায়।
তিনি বলেন, নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করবো না। এটা ইসির বিষয়। বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানানো হয়েছিলো। তারা দল গোছাতে পারেনি- এমন বিষয় ছিলো। তাই ওই দলগুলোও যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন সেজন্য তিনি এমন কথা বলেছেন। আমাদের কোনো দুরভিসন্ধি নেই।
বিএনপি নির্বাচনে আসায় সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এখন নির্বাচনে এসে তারা প্রমাণ করেছে ২০১৪ সালে নির্বাচনে না আসা তাদের ভুল ছিলো। এখন তারা বলছেন, নির্বাচনে আসা আন্দোলনের অংশ। এই আন্দোলন তো তারা তখনো করতে পারতেন। তখন নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে না নিয়ে সহিংসতাকে বেছে নিলেন।
এখনো গায়েবি মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, কথা শুনে মনে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে হবে। তারা কোনো কাজ করবে না। থানা বন্ধ করে দিতে হবে। সেভাবে দেশ চলবে। এখানে কোনো আইন নেই। আমরা সবাই রাজা। এটা হতে পারে না। এটা একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা তো সন্ত্রাসীদের হাতে দেশ ছেড়ে দিতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী তালিকা চেয়েছেন। তারা তালিকা দিয়েছেন। সেগুলো ধরে তদন্ত হচ্ছে। এমন কাউকে পাওয়া গেলে সাথে সাথে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।
Leave a reply