তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দু’টিতে জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই শেষ ম্যাচটি ছিল নিয়মরক্ষার লড়াই। আর এই ম্যাচেই অসাধারণ দাপট দেখালো ক্যারিবিয়ানরা। ত্রিনিদাদে বৃষ্টি আইনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আট উইকেটে হারিয়ে প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবালো স্বাগতিকরা।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি শুরু হয় ঘণ্টখানেক দেরিতে। পরে পঞ্চম ওভারে আরেক দফা বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে আরও ৭০ মিনিট। ম্যাচ নেমে আসে ১৩ ওভারে। দক্ষিণ আফ্রিকা করতে পারে ১০৮ রান। ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধদিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩ ওভারে ১১৬। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের লাগে স্রেফ ৯.২ ওভার। তাতে করেই ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম তিন ওভারে রান আসে কেবল সাত। চতুর্থ ওভারে রায়ান রিকলটনের চার ও ছক্কায় একটু বাড়ে রানের গতি। পরের ওভারে ছক্কা মারেন রিজা হেনড্রিকস। ওই ওভারেই নামে বৃষ্টি। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হতেই বিদায় নেন হেনড্রিকস। একটি ছক্কা মারলেও ৯ রান করতে ২০ বল খেলেন তিনি।
দু’টি করে ছক্কা ও চার মারলেও রিকলটনের ২৭ রান আসে ২৪ বলে। তিনে নেমে অধিনায়ক এইডেন মার্করাম করেন ১২ বলে ২১। দু’জনকে একই ওভারে ফেরান রোমারিও শেফার্ড। এ দিন প্রোটিয়াদের হয়ে একাই লড়াই করেন স্টাবস। ১৫ বলে পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪০ রান করেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ তিন ওভারে তোলে ৪১ রান। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ১৪ রান খরচায় দুই উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড।
জবাবে শাই হোপ, নিকোলাস পুরান, শিমরন হেটমায়ারদের বিস্ফোরণে ৯.২ ওভারেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা। প্রথম ওভারেই অ্যালিক অ্যাথানেজের উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাকি সময়ে তাদের বিপদে পড়ার কোনো অবস্থাই তৈরি হয়নি।
হোপ-পুরান মিলে ১৯ বলে ৫৮ রান তোলেন। পুরান ১৩ বলে ৩৫ রান করে ফিরে গেলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন হোপ। ২৪ বলে ৪২ রান করেন তিনি। এই দু’জনই চারটি করে ছক্কা হাঁকান। শেষদিকে হেটমায়ার ১৭ বলে করেন অপরাজিত ৩১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একটি করে উইকেট নেন ফরচুন বিজন ও ওটনেল বার্টম্যান।
কার্যকর বোলিংয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ম্যান অব দা ম্যাচ হন শেফার্ড। ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ে সিরিজের সেরা হোপ।
/আরআইএম
Leave a reply