বাউফল করেসপনডেন্ট:
ছিলেন স্বল্প পুঁজির ফুটপাতের ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী। বিএনপি পরিবারে জন্ম হলেও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দল বদলে রাতারাতি বনে যান যুবলীগ নেতা। এতেই ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা। শূণ্য থেকে কোটিপতি বনে যান কালাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য ফকরুল ইসলাম ফোরকান।
বিএনপি পরিবারের সন্তান ফোরকান আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বাগিয়ে নেন উপজেলা যুবলীগের গ্রন্থ ও পাঠাগার সম্পাদক পদ। ২০১১ সালে প্রথম বার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। এতে বদলে যায় তার ভাগ্য। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তার। একে একে তিন বার নির্বাচিত হন ইউপি মেম্বার। সবশেষ কালাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন ফোরকান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ বন্দর কালাইয়াতে জমি বেচাকেনার দালালি, নতুন ভবন তুলতে চাঁদা, কারেন্ট জাল, পলিথিন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদাসহ ব্যক্তিগত ট্রলারে করে গরু চুরিতে সহযোগিতা করাসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে আয় করেন কোটি কোটি টাকা। সবশেষ ইউপি নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগও ওঠে। বৃহৎ বাণিজ্যিক বন্দর কালাইয়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন ফোরকান। ওই টাকায় গড়ে তুলেন তিন তলা প্রাসাদ।
এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দের কোনো কাজ না করেই অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে ফোরকানের বিরুদ্ধে। বন্দরের প্রাণকেন্দ্র আলী আকবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তিন তলা বাড়িটি তার। যার বাজার মূল্য ৭ কোটি টাকারও বেশি। সম্পদ সবই গড়েছেন গত ১৫ বছর। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে ফোরকান মেম্বার কালাইয়া বাজারে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসা করতেন বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অঢেল অর্থ সম্পদ থাকার বিষয়টি স্বীকার করে ইউপি মেম্বার ফকরুল ইসলাম ফোরকান বলেন, আমি হজ্জ করে এসেছি। আমার স্ত্রীও হাজি। আমার সম্পদের একটি টাকাও অবৈধ পথে আসেনি। প্রতিপক্ষরা হেয় করার জন্য এসব কথা বলছে।
/এনকে
Leave a reply