একটা সময় ছিলো যখন প্রেমের বার্তা পৌঁছানোর একমাত্র মাধ্যম ছিলো চিঠি। শুধু প্রেম নয়, এলাকার বিভিন্ন সমস্যা যেমন, রাস্তা-ঘাঁট ভাঙা কিংবা খাল খনন সম্পর্কে সরকারি দফতরে জানানোর জন্য ব্যবহার করা হতো চিঠি।
চিঠি লেখার সাথে ছিলো আবেগ। গ্রামে নতুন বধূ অপেক্ষার বসে আছে, কখন আসবে তার স্বামীর চিঠি। কিংবা বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছে সন্তানের চিঠির অপেক্ষায়। সব আত্মীয়-স্বজন পোস্ট মাস্টারকে দেখলেই ডাক দিয়ে উঠতো, ‘আমার জন্য শহর থেকে কোন চিঠি আসছে!’
সময় বদলে গিয়েছে। সেই সাথে বদলে গিয়েছে মানুষের যোগাযোগ করার মাধ্যম-ও। বর্তমানে, চিঠি কাগজে লেখা হয় না। কিংবা চিঠি বুকে নিয়ে বাংলা সিনেমায় নায়িকা গান-ও গায় না। বলা চলে, চিঠি কাগজ থেকে চলে গিয়েছে ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে। মানে বার্তা এখন ডিজিটাল।
আজ বিশ্ব চিঠি দিবস। তাই, যমুনা টেলিভিশন দর্শকদের কাছে জানতে চেয়েছে, ‘শেষ কবে চিঠি লিখেছেন? উত্তরে একজন দর্শক মজার ছলে লিখেছেন, ‘ এইচএসসি’র বাংলা পরীক্ষায়।’
অন্য আরেকজন দর্শক লিখেছেন, ‘ গরিব মানুষের আবার চিঠি, মাঝে মধ্যে সিম কোম্পানি যে মেসেজ দেয় এটাই অনেক।’
একজন দর্শক-তো বলেই দিয়েছেন, ‘তুমি থাকলে আজ হয়তো চিঠিটা লিখেই ফেলতাম।’
পূর্বে, চিঠি লিখতে একের-পর-এক খাতার কাগজ ছেঁড়া হতো, কীভাবে লিখবো কিংবা কি লিখবো, তাই ভেবে। তবে এখন শুধু ইন্টারনেটে এড্রেস দিয়ে দিলেই চলে যায় চিঠি।
/এআই
Leave a reply