রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পায়নি স্বাগতিক পাকিস্তান। হেরেছে ১০ উইকেটে। দ্বিতীয় টেস্টে জয় কিংবা ড্র করতে পারলেই প্রথমবার পাকদের বিপক্ষে লাল বলের সিরিজ জেতার সুযোগ নাজমুল হাসান শান্তর দলে। এমন সমীকরণে টেস্টের প্রথমদিন ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। বল গড়ানো তো দূরে থাক টসও হতে দেয়নি বেরসিক বৃষ্টি।
চার দিনে নেমে আসা টেস্টে টস জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত শান্তর। প্রথম ওভারে তাসকিনের ব্রেকথ্রুর পর ২৭৪ রানে স্বাগতিকদের গুটিয়ে দেয় টাইগার বোলাররা। প্রথম দিনেই প্রতিপক্ষের সব উইকেট তুলে নেয়ার পর ব্যাটিংয়েও নামে বাংলাদেশ। প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন টাইগার ওপেনার সাদমান ইসলাম। তবে সেই ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেনি পাক ফিল্ডার। গতকাল দুই ওভারে ১০ রানে কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ।
গতকালের দুই ওভার বল দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, আজ সকালে বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের সামনে। তবে সেই পরীক্ষায় পুরোপুরি ‘ফেল’ করেছে ব্যাটাররা। পাক পেসার খুররম শেহজাদ ও মীর হামজা রীতিমতো ঝড় তোলেন রাওয়ালপিন্ডিতে। দিনের প্রথম ৯ ওভারের মধ্যেই এই পেসার ৬ ছয় উইকেট তুলে নিয়ে মেরুদণ্ড ভেঙে দেয় বাংলাদেশের ইনিংসের। তখন দলের রান মাত্র ২৬। ওভার মাত্র ১১ দশমিক ৩। তাই পাকিস্তানের ২৭৪ রানকেই মনে হচ্ছিল হিমালয় সমান।
ব্যর্থতার এই মিছিলে পাঁচজনই ফিরে গেছেন ১ সংখ্যার ঘরে। জাকির ১, শান্ত ৪, মুমিনুল ১, মুশফিক ৩ আর সাকিব ফেরেন ১ রান করে। ওপেনার সাদমান দুই সংখ্যায় গেলেও থামেন ১০ রানে।
তবে পাকিস্তান পেসারদের তোপের মুখে এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ প্রথম সেশন শেষ করে ৬ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে।
মধ্যাহ্ন বিরতির পরও এই দুই জনের ব্যাটে লড়ছে বাংলাদেশ। দুজন প্রায় দেড়শো রানের জুটি গড়েছেন। তুলে নিয়েছেন নিজেদের ব্যক্তিগত অর্ধশতকও।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৭ ওভারে ১৭১ রান। লিটন ৭৪ রানে ও মিরাজ ৬৬ রানে ব্যাট করছেন। লিটন-মিরাজের অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ ১৪৫ রানের। বাংলাদেশ এখনো পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে আছে ১০৩ রানে।
/এনকে
Leave a reply