ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাদুঘর গ্রামের চাঞ্চল্যকর আবদুল করিম হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শেখ রাজিয়া সুলতানা তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নিহত আবদুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মোছাম্মৎ সালমা বেগম, সজল দেবনাথ, আলাল মিয়া। তাদের সবার বাড়ি সদর উপজেলার ভাদুঘর গ্রামে। এছাড়া এ মামলার আরেক আসামি লিটন দেবনাথকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে শুধুমাত্র সালমা আদালতে হাজির ছিলেন, বাকিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১ সালের ৫ জুন সন্ধ্যা থেকে রাতের কোনো এক সময় ভাদুঘর গ্রামের মধ্যপাড়া মহল্লার বাসিন্দা আবদুল করিমকে দণ্ডপ্রাপ্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যার করে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জড়ৎ বাজারে মুদি মালের ব্যবসা করতেন। পরবর্তীতে নিহতের বস্তবন্দি মরদেহ ভ্যানগাড়িতে করে সদর উপজেলার উড়শিউরা এলাকার একটি ঝোঁপঝাড়ের ভেতরে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় নিহত করিমের প্রথম স্ত্রী শিউলি বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৭ জুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা বেগম, সজল দেবনাথ, আলাল মিয়া ও লিটন দেবনাথকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন সদর মডেল থানা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম।
মামলার রায়ে বাদী শিউলি বেগম ও তার পক্ষের আইনজীবী তারিকুল ইসলাম খান রুমা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
Leave a reply