সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিমদের হাত ধরে অবিশ্বাস্য অনেক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারত বধ দিয়ে শুরু, দেড় যুগের দীর্ঘ পথচলায় দু’জনে উল্লাসে মাতিয়েছেন অসংখ্যবার। এবার এই যুগলের হাত ধরে পাকিস্তানকে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ হারালো বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, ড্রেসিং রুম থেকে সবাই চাচ্ছিলেন সাকিব-মুশফিকই যেন ম্যাচ শেষ করে আসেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারানো সফরকারীরা সিরিজ জিতলো ২-০ ব্যবধানে। বিদেশের মাটিতে ৩৪ সিরিজে এটা বাংলাদেশের তৃতীয় সিরিজ জয়। আগের দুটি সিরিজ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
প্রথম টেস্টে তো ১৯১ রানের ইনিংস খেলে মহানায়ক হয়ে উঠেছিলেন মুশফিক। ব্যাট হাতে নিস্প্রভ হলেও সাকিব বল হাতে রাখেন অবদান। দ্বিতীয় টেস্টে অবশ্য তারা তেমন অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারেননি, তবে জয় নিশ্চিত করেছেন দু’জনে একসাথে মাঠে থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত বলেন, আবেগটা আসলে মুখে বলা কঠিন হবে। কারণ এই ধরনের অর্জন আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেরা মুহুর্তগুলোর একটি। সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই যখন ব্যাটিং করছিলেন, ড্রেসিংরুম থেকে আমরা সবাই চাচ্ছিলাম যেন, উনারা দুজনই ম্যাচটা শেষ করেন। এত বছর ধরে উনারা বাংলাদেশের হয়ে খেলছেন। কত ম্যাচ জিতিয়েছেন। কিন্তু এই ধরনের ম্যাচ জেতা অনেক স্পেশাল। আমরা সবাই তাই চাচ্ছিলাম। আমরা সবাই অনেক খুশি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৬ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকেই দলকে টেনে তুলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাস। সেই সময় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন শান্ত। তবে মিরাজ-লিটনরা যেভাবে দলকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছেন তার প্রশংসা করেছেন শান্ত।
তিনি এই দুই ক্রিকেটারের প্রশংসা করে বলেন, ৬ উইকেট হারানোর পর আমি আগেই বললাম আমরা এখনও বিশ্বাস করি। ব্যাটিংয়ে যাওয়ার আগে সে (মিরাজ) একটা বিষয় বলেছিল সে এবং লিটন দলের জন্য কাজটা করতে পারবে। তারা দু’জন আগেও করেছে কিন্তু এটা অবিশ্বাস্য। তাদের যে বিশ্বাস আছে এবং ড্রেসিং রুম একেবারে ভিন্ন। আমি মিথ্যা বলব না কারণ আমরা অনেকটা পিছিয়ে ছিলাম এবং নার্ভাস ছিলাম ওই সময়।
/আরআইএম
Leave a reply