বাংলাদেশের কাছে লজ্জার হারের পর ফুঁসছেন পাকিস্তানের গ্রেটরা

|

ছবি: সংগৃহীত

টানা দশ টেস্টে জয়হীন পাকিস্তান। সেটিও আবার ঘরের মাঠে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ড্রয়ের দেখা পেলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে দেখা গেল উলটো চিত্র। দুই ম্যাচেই হারের স্বাদ পেয়েছে ম্যান ইন গ্রিনরা। এমন ব্যর্থতার পর তাই আক্ষেপ ঝরেছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কদের কন্ঠে।

এই সফরের আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩ টেস্টে কোনো জয় ছিল না বাংলাদেশের। সেই দলটিই শেষ পর্যন্ত ইতিহাস রচনা করল পাকিস্তানের মাটিতে। দ্বিতীয় টেস্টে ২৬ রানে ৬ উইকেট পড়ার পরও যেভাবে ঘুড়ে দাড়িয়েছে শান্ত বাহিনী তার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন জাভেদ মিয়াঁদাদের কাছ থেকে। সেই সাথে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে এই পাক সাবেকের।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাভেদ মিয়াঁদাদ বলেন, এটা কষ্টের যে, আমাদের ক্রিকেট এই পর্যায়ে এসেছে। গোছালো পারফরম্যান্সের জন্য বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। তবে এই সিরিজে আমাদের ব্যাটিং যেভাবে ভেঙে পড়েছে সেটি খারাপ লক্ষণ।

এই হারের দায় শুধু ক্রিকেটারদের ওপর চাপাতে নারাজ টেস্টে পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মিঁয়াদাদ। এই হারের পেছনে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকেও সমানভাবে দায়ী ভাবছেন এই কিংবদন্তী। তিনি বলেন, আমি শুধু খেলোয়াড়দের দোষ দেব না, কারণ গত দেড় বছরে বোর্ডে (পিসিবি) যা কিছু হয়েছে এবং অধিনায়কত্ব ও ম্যানেজমেন্টের পরিবর্তন দলকে প্রভাবিত করেছে।

ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং করার মানসিকতায় ঘাটতি আছে বলে মনে করছেন টেস্টে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান ও সেঞ্চুরি করা ব্যাটার ইউনুস খান। দেশটির আরেক সাবেক অধিনায়ক ইনজামামও সুরে সুর মিলিয়েছেন ইউনুস খানের সঙ্গে। সিরিজ হারের জন্য ইনজিও কাঠগড়ায় তুললেন ব্যাটসম্যানদেরকেই।

ইনজামাম উল হক বলেন, অতীতে সেরা দলগুলোকে হারানোর জন্য হোম সিরিজকে সবসময় আমাদের সেরা সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এর জন্য তো ব্যাটসম্যানদের রান পেতে হবে। আমাদের ব্যাটাররা অতীতে রান পেয়েছে, কিন্তু এই মুহূর্তে আমি মনে করি, এই সংকট কাটিয়ে উঠতে তাদের মানসিক দৃঢ়তা দরকার।

১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সালের পর এ প্রথম ঘরের মাটিতে এতগুলো টেস্টে জয়হীন তারা। সেবার টানা ১১ ম্যাচে জয়হীন ছিল দলটি। গত ২৫ বছরের পরিসিংখ্যানে ঘরের মাটিতে ব্যর্থতার তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে ম্যান ইন গ্রীনরা।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply