ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে সারাদেশে ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। নতুন বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে সবাইকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান ছাত্র-ছাত্রীরা।
গণ অভ্যুণ্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। ডকুমেন্টারিতে আন্দোলনকারীর ওপর পুলিশের নির্যাতনসহ বিভিন্ন সময়ের হামলার চিত্র তুলে ধরা হয়। এর আগে, সাভারে মারা যাওয়া শহীদদের কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা ।
বিকেলে শহীদদের স্মরণে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে ‘শহীদী মার্চ’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। সদর শিববাড়ি মোড়ে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীদের একাংশ। এ সময় নতুন বাংলাদেশের সংস্কার সাংবিধানিকভাবে হোক এমন প্রত্যাশার কথা জানান সমন্বয়করা। পরে, একটি মিছিল টঙ্গী কলেজ গেট এলাকা থেকে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে শেষ হয়।
বগুড়া শহরের সাতমাথায় এলাকায় বিকেলে মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে, মুক্ত মঞ্চের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান নেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা সারাদেশে নিহতদের শহীদ স্বীকৃতি দেয়া, চাকরির ক্ষেত্রে সকল বৈষম্য দূর করাসহ ১০ দফা তুলে ধরেন।
বিকেলে ভোলায় ইলিশা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে শহীদদের স্মরণে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে একই জায়গায় এসে শেষ হয়। সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এ সময় তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনাকে দেশে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলেন।
কুমিল্লায় ঈদগাহ মাঠ ও কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে শহীদী মার্চের দুটি পথযাত্রা করে শিক্ষার্থীরা। এই পথযাত্রায় অংশ নেয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা জেলা স্কুলসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
শহীদদের স্মরণে মাদারীপুরে শহীদী মার্চ কর্মসূচি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। বিকালে শহরের লেকপাড়ের মুক্ত মঞ্চের সামনে জড়ো হন তারা। এ সময় মাদারীপুরে তিন শহীদের হত্যার বিচারের দাবি করেন তারা।
এদিন বিকেলে পঞ্চগড় শহরের জজকোর্ট এলাকা থেকে মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করে তারা। এ সময় বক্তারা বলেন, দেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হলেও স্বৈরাচারী হাসিনার দোসররা বিভিন্ন রুপে ফিরে আসতে চায়। এসব কুচক্রী মহলগুলোকে শক্ত হাতে দমন করার আহবান তাদের।
এদিকে, বিকেলে পিরোজপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেয় হয়। এ সময় বক্তারা আন্দোলনে তাদের বিভিন্ন নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। এছাড়া নীলফামারি, নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলায় শহীদী মার্চ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
/এনকে
Leave a reply