ফেলানীর মতো হত্যাকাণ্ড আর দেখতে চাই না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

|

সীমান্তে পিঠ প্রদর্শন করবেন না। ফেলানীর মতো হত্যাকাণ্ড আর দেখতে চাই না। নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন— বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রতি এমন আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বিজিবির সদর দফতরের বাহিনীটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিজিবির মূল দায়িত্ব সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধ। বিজিবিকে পেশাদারিত্বের সাথে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ সময় দুর্নীতি থেকে নিজেদের দূরে রাখতে বাহিনীটির সদস্যদের প্রতি কঠোর নির্দেশনাও দেন তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, কোনো অবস্থাতেই দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। ঘুস ও দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় বাহিনীটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ভিডিও টেলিকনফারেন্সের (ভিটিসি) মাধ্যমে সকল রিজিয়ন কমান্ডার, সেক্টর কমান্ডার, ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে কিশোরী ফেলানি খাতুন (১৪) নিহত হন। এরপর তার মরদেহটি সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ফেলানির মরদেহ ঝুলে থাকার কাটাতারে ঝুলে থাকার দৃশ্য বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় তোলে। এর প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর পতাকা বৈঠক শেষে ফেলানির মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালে আগস্টে ভারতের জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস আদালতে ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়। এর পরের মাসেই আসামি বিএসএফ জওয়ান অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় বিএসএফ এর সেই বিশেষ আদালত। এই রায় প্রত্যাখ্যান করে পুনর্বিচারের দাবি জানান ফেলানির বাবা নুর ইসলাম। এরপর ২০১৪ সালের আবারও ফেলানীর হত্যার বিচারকাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালে সেটি থেকেও খালাস পান অমিয় ঘোষ।

২০১৫ সালে ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচার এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে তার বাবার পক্ষে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। পরে সেই পিটিশনের শুনানির দিন কয়েক দফায় পেছায়। এখনও সেই পিটিশনটির নিষ্পত্তি হয়নি।

/আরএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply