উড়োজাহাজের জ্বালানি তেল (জেট ফুয়েল) ও ফার্নেস অয়েলের দাম এখন থেকে নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
এতদিন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জেট ফুয়েল ও ফার্নেস অয়েল নির্ধারণ করে আসছিল। আগামী অক্টোবর মাস থেকে এটি কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, বিইআরসি আইনে সকল ধরনের জ্বালানির নির্ধারণের এখতিয়ার বিইআরসিকে দেয়া হয়েছে। তবে বিধিমালা অনুমোদন না হওয়ার অজুহাতে এতদিন জেট ফুয়েল ও ফার্নেস অয়েলের দাম নির্ধারণ করে আসছিল বিপিসি।
২০০৩ সালে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন পাশের মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও আধাবিচারিক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠিত হয়। গ্যাস ও বিদ্যুতের বিতরণ কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা এবং ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত বিইআরসি মূলত ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে। এ পর্যন্ত ১৩টি প্রবিধানমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। আর ১২টি প্রবিধানমালা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অনুমোদনের অপেক্ষায় ঝুলে রাখা হয়েছে। আইনে সকল ধরনের জ্বালানির দাম নির্ধারণের এখতিয়ার দেয়া প্রবিধানমালা ঝুলে থাকায় শুধুমাত্র গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করে আসছিল বিইআরসি।
২০২৩ সালে হঠাৎ করেই আইন সংশোধন করে নির্বাহী আদেশে দাম সমন্বয় (কম/বেশি) করার বিধান যুক্ত করা হয়। তারপর থেকে নির্বাহী আদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করায় কার্যত বেকার হয়ে পড়ে আধাবিচারিক প্রতিষ্ঠানটি। বিইআরসি গণশুনানির মাধ্যমে দাম চূড়ান্ত করায় ইউটিলিটিগুলোর নানা রকম অসঙ্গতি সামনে আসতো।
গত ২৭ আগস্ট নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের আইন বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের একক ক্ষমতা ফিরে পায় বিইআরসি। গেজেটে বিইআরসি আইনে ৩৪(ক) ধারা সংযোজন করে নির্বাহী আদেশে দাম নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়া হয় নির্বাহী বিভাগকে। গেজেটে ৩৪(ক) ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে।
/এমএন
Leave a reply