দেশের সুনাম নষ্ট করতেই কিছু মানুষ বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাচ্ছেন বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যেসব অজুহাতে আশ্রয় চাওয়া হচ্ছে, তা মিথ্যা হওয়ায় আবেদন গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না বলে মত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর। তার দৃষ্টিতে, এ ধরনের প্রবণতা বাংলাদেশিদের বৈধ অভিবাসন ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট করছে। নাগরিকত্ব নিশ্চিত হয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চায় মন্ত্রণালয়।
পাঁচ বছরে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন বিভিন্ন দেশে। যারা তা চেয়েছেন, তাদের অভিযোগ, দেশে নিরাপত্তা নেই। প্রশ্নবিদ্ধ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও। গত জাতীয় নির্বাচনের পর তিন বছরে ইউরোপের প্রভাবশালী দুই দেশ ফ্রান্স ও ইতালিতে এরকম রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে আগের সব রেকর্ড। অবশ্য, এ ধরনের বেশিরভাগ আবেদনই বাতিল হয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, ‘তাদের অধিকাংশরই দাবি বৈধ না হওয়ায় তা বাতিল হচ্ছে। তারা রাজনৈতিক আশ্রয়ের সুযোগটির অপব্যবহার করছেন। এর সাথে দেশের ভাবমূর্তির বিষয়টিও জড়িত।’
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার হিসাব বলছে, কেবল ইউরোপে নয়, দক্ষিণ আফ্রিকায়ও আশ্রয় চেয়েছেন কয়েক হাজার বাংলাদেশি। আর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার মত দেশগুলোতে সংখ্যা বাড়ছেই। এরকম ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে বৈধ অভিবাসীদের মধ্যেও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী করবে সরকার?
শাহরিয়ার আলম জানালেন, নাগরিকত্ব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হলে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে। অবৈধ অভিবাসন আমরা কখনোই উৎসাহিত করিনি, করবোও না। এ বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে আমরা কাজ করছি।
কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের দুটি রায় টেনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান, দেশের সুনাম নষ্ট হয় এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে সবাইকে।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply