টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ‘সেরা ক্রিকেটার’ হিসেবেই সাকিবের বিদায়

|

ছবি: সংগৃহীত

সাকিব আল হাসান-বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নাম। পোস্টার বয়, একজন মহানায়ক, যে নামেই আপনি বিশেষায়িত করুন না কেন তাতে বরং কমতি থেকে যাবে। সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারে’র কথা আসলে তর্ক হতে পারে। কিন্তু ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়’ এর প্রসঙ্গ আসলে তাকে বিতর্কিত-হীন ভাবে সবার সেরা বলা যায়। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় সাকিব টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।

২০০৬ সালে বিকেএসপিতে হাতেখড়ির পর ২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের। একই বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই খুলনায় টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় দেশসেরা ক্রিকেটারের। ওই বছরের ২৮ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৮ বলে ২৬ রান ও বল হাতে ৩১ রান খরচায় নেন এক উইকেট। সেটিই ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার প্রথম উইকেট।

বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে শেষ ম্যাচ খেলেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেই ম্যাচটিতে বল হাতে ১৯ রান খরচ করলেও পাননি কোনো উইকেটের দেখা। ব্যাট হাতেও প্রথম বলেই শূন্য রানে ফেরেন সাজঘরে। সবমিলিয়ে বিদায়ী ম্যাচটা দুঃস্বপ্ন হয়ে রইল এই অলরাউন্ডারের। কারণ সেই ম্যাচে নাটকীয় হারে বিশ্বকাপের সুপার এইট থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে বাংলাদেশের জার্সিতে ১২৯টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। যেখানে ১২৭ ইনিংসে ব্যাট করে প্রায় ২৩ গড়ে করেছেন ২৫৫১ রান। যেখানে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১২১ গড়ে। তার নামের পাশে আছে ১৩টি হাফ সেঞ্চুরি। তাছাড়া বল হাতে শিকার করেছেন ১৪৯ উইকেট।

সবশেষ বিশ্বকাপেও দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন সাকিব। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেটও তার। রেকর্ড ৫০টি।

বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪৩টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। যা ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শুধু কি ম্যাচের সংখ্যা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও উইকেট তোলার বিচারে সেরা তিনজনের একজন সাকিব। তার ওপরে কেবল নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ও আফগানিস্তানের রশিদ খান। এ তো গেল বোলার সাকিবের কীর্তির কথা। ব্যাটার সাকিবও বাংলাদেশিদের মধ্যে সেরা। ১২৯ ম্যাচে ২৫৫১ রান তার। রান তোলার বিচারে ১৩ তম ক্রিকেটার তিনি।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সাকিবই একমাত্র খেলোয়াড়, যে কি-না ১০০ উইকেটের পাশাপাশি ২০০০ রানের মাইলফলক রয়েছে। টি-টোয়েন্টি’তে সবচেয়ে বেশি সময় নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার হওয়ার রেকর্ডটিও তার অধীনেই।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply