প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়! দুনিয়ায় কোনোকিছুই চিরস্থায়ী না, সবারই ছাড়তে হয়, কখনো না কখনো! দেশের ক্রিকেটের নক্ষত্র সাকিব আল হাসানও এর ব্যতিক্রম নন! ছলছলে চোখেই সাকিবের মুখে উচ্চারিত হলো, বিদায়।
বছর চারেক আগে এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন কখনো প্যাসেঞ্জার হয়ে থাকতে চান না। মূলত বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটে সবসময় ড্রাইভিং সিটে বসে থাকার কথা বলেছিলেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। এমনকি সেই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন যখন তার মনে হবে তিনি প্যাসেঞ্জার তখনই ছেড়ে দিবেন খেলা।
বর্তমান পারফর্মান্স বলছে শেষ একটা বছরে ড্রাইভার তো ননই; একসময়ের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে প্রফিটেবল প্যাসেঞ্জার বলতেও আপত্তি থাকা লোকের অভাব নাই! অবসরের ঘোষণা দিয়ে সাকিব তাদের খুশিই করলেন; নাকি দুঃখী?
কাশ্মীরের এক বাড়িতে সাকিবের ছবি ঝোলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের দমিনিকায় ভালোবেসে এক ভক্ত ছেলের নামই সাকিব রেখেছেন। বিদেশি অনেকের কাছেই বাংলাদেশের এম্বাসেডর সাকিব আল হাসান। ভিনদেশের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হরহামেশাই প্রশ্নও আসে, ও তুমি সাকিবের দেশের মানুষ?
দেশের কেউ যখনই চূড়ায় ওঠে বা উঠতে চায়, বিশেষ করে ক্রিকেটে; দেখা যায় আগে থেকেই সাকিব সেখানে উঠে বসেছেন। মাগুরার মতো ছোট্ট, স্বল্পোন্নত একটা জায়গা থেকেও দুনিয়াজোড়া নাম করা যায়, সাকিবই শিখিয়েছেন।
সাকিবকে মানুষ ভালোবাসে, সাকিবকে মানুষ ঘৃণাও করে; কিন্তু সাকিবকে কি ইগ্নোর করতে পারে কেউ? বাংলাদেশের আকাশে বৃষ্টির দেখা বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই, কানপুরের আকাশেও তাই! কে জানে আকাশের ঐ কান্না সাকিবের জন্যই, দেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয়ের বিদায়ের জন্যই।
/আরআইএম
Leave a reply