কানপুর টেস্টের উইকেট হতে যাচ্ছে স্পাের্টিং। শেষ মুহূর্তে ব্রাস করে উইকেটের ঘাস ছোট করা হয়েছে। প্রথম দুই সেশনে ভালো বাউন্স পাবে পেসাররা। এরপর টেস্টের বাকি তিন দিন দাপট দেখানোর কথা ব্যাাটারদের আর শেষ ২ দিন আধিপত্য থাকবে স্পিনারদের।
উইকেটের ওপর ক্রমাগত ব্রাস চালাচ্ছেন কানপুরের গ্রীন পার্ক স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ডস কর্মিরা। এভাবে প্রায় ৪৫ মিনিটের মতো চল্লো কাজ। কি হয়েছে বুঝলেন? উইকেটে যে ঘাস গুলোকে রোল করে বসিয়ে দেয়া হয়েছিলো সেগুলো তোলা হলো ঠিক চুল চিরুনি করার মতো করে।
এরপর আনা হলো ঘাস কাটার মেসিন। পিচের ঘাস গুলো আরও একটু ছোট করার হলো। চিপটা নিবিড় ভাবে দেখুন। দুই দিকের রঙ্গ দুই রকম। কারণ এক পাশের ঘাস কাটা হয়েছে? কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগছে না কেন ঘাস কাটা হলো। এভাবে ঘাস ছোট করায় বাউন্স বাড়বে কিছুটা। পিচের পাশে দাড়িয়ে থাকা শিবকুমার বল দিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পরীক্ষা করে দেখলেন বাউন্স।
তারমানে এই নয় পেস সহায়ক উইকেট হচ্ছে? স্পোর্টিং পিচ বল যায়। প্রথম দিন পেসাররা অন্তত দুই সেশন সুবিধা পাবে। এরপর ব্যাটারদের জন্য কাজটা সহজ হবে। তবে শেষ দুই দিন আধিপত্যা দেখাবে স্পিনাররা।
১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই স্টেডিয়ামটি ভারতের সবচেয়ে পুরনো ও ঐহিত্যেবাহি ভেন্যুগুলোর একটি। স্টেডিয়ামের নাম করণের ইতিহাসও মজার। ১৯২১ থেকে ২৬ সাল পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের গভর্নের দায়িত্বে থাকা স্যার স্পেন্সার হারকোর্ট বাটলার সবুজ রং আর বাগান করতে ভালোবাসতেন। তাকে সন্মন দেখাতেই স্টেডিয়ামটির নাম করণ করা হয় গ্রীন পার্ক।
এই মাঠের ধারণক্ষমতা ৩২ হাজার। ঐতিহ্যেকে ধরে রাখতে দক্ষিণের গ্যালারির অবয়ব পরিবর্তন করা হয়নি। অন্যদিকে হয়েছে আধুনিকায়ন।
১৯৮৩ সালে সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেছিলাে ভারত। গর্ডন গ্রিনিজের ১৯৪ রানের দারুন ইনিংসে ভিভ রিচাঢর্সের দল হারিয়েছিলো কপিল দেব-সুনিল গাভাস্কারের দলকে।
এই ভেন্যুর উইকেট আগে খুবই ব্যাটিং সহায়ক ছিলো। তাইতো এখানে হওয়া ২৩ টেস্টে ফল হয়েছে মাত্র ১০টিতে। আর ১৩ ম্যাচ ড্র হয়েছে। যার মধ্যে ভারত হেরেছ মাত্র ম্যাচ।
/আরআইএম
Leave a reply