চাকরিতে ফ্যাসিবাদের বীজ: সমতার বৈষম্যের সমাধান ৩৫?

|

মঈনুল ইসলাম ⚫

চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা নিয়ে পুনরায় জোরালো আলাপ চলছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় থাকায় এই দাবি বাস্তবায়নের জোর দাবি উঠেছে। একে আরও সক্রিয় করে তুলেছে গত ১৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চাকরিতে প্রবেশের সর্বশেষ বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়স ৬৫ করা বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত একটি পত্র (প্রথম আলো অনলাইন, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪)।

গত ৫ সেপ্টেম্বর বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে এ চিঠি দেয়। ফেসবুক ও গণমাধ্যমের পাশাপাশি জনসাধারণের মুখেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। যদিও ‘চুক্তিভিত্তিক আমলাতত্ত্ব’ মোতাবেক অবসর নেয়ার বয়স ৬৫ করার পেছনে শ্রেণিস্বার্থ রয়েছে, তবুও এই দাবির প্রথম অংশ জনগণের জন্য কল্যাণমূলক হওয়ার সম্ভাবনাকে ধারণ করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়সসীমার পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক আরও কিছু জরুরি বিষয়ে আলাপ তোলা অত্যাবশ্যক।

আমি মনে করি, একটি আদর্শ কল্যাণ রাষ্ট্রব্যবস্থায় চাকরি থেকে অবসরের একটি বয়স নির্ধারণ করার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও চাকরিতে প্রবেশে বয়সের কোনো শেষরেখা থাকা উচিত নয়। প্রজাতন্ত্রের কাজে– সরকারি ও বেসরকারি উভয়ক্ষেত্রে– যোগ্যতা অনুযায়ী যেকোনো বয়সে যেকেউ প্রবেশ করতে পারার দুয়ার খোলা রাখা উচিত। অবসরকালীন সুবিধা কী হবে, সেই চিন্তা না করে অবসরের এক বছর আগে চাকরি পেলে এক বছরের অবসর ভাতা পাবে, এমন আইন করা উচিত। এতে সুবিধা হচ্ছে, একটি বিপুল অংশকে উদ্যোগে পাওয়া যাবে এবং সে উদ্যোগ থেকে ফিরে আবার চাকরিতে আসতে পারবে এবং এর বিপরীতক্রমও চলবে। কেউ যদি একটি নির্ধারিত বয়স শেষ হওয়ার ভয়ে ভীত না থাকে, তবে কিন্তু বেসরকারি চাকরি করতে বা উদ্যোগের ঝুঁকি নিতে সে দ্বিধা করবে না।

বিষয়টা আরেকটু স্পষ্ট করছি। বাংলাদেশের মানুষের পরিশ্রম করার সুখ্যাতি আছে। কিন্তু পরিশ্রমের ফসল তোলার অনুকূল পরিবেশ তাকে দিতে হয়। এজন্য উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে লাইসেন্সসহ সবকিছুর বৈধ অনুমোদন ৫-১০ টাকায় বা ফ্রিতে প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবসায় চাঁদাবাজি ও সাম্যবিরোধী সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী উদ্যোগ নিতে গিয়ে যদি বাধা-বিপত্তিতে পড়ে এবং অপ্রয়োজনীয় আইন-কানুন বা চাঁদাবাজির মুখোমুখি হয়, তবে তার উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছে প্রথমেই মাঠে মারা যেতে পারে। মসৃণ পরিবেশের পাশাপাশি সরকার ও সমাজের বিত্তশালীদের উদ্যোগে আগ্রহী ব্যক্তিকে আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা প্রদানের সুব্যবস্থাও রাখতে হবে।

সব শ্রেণির বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও সরকারি চাকরির সমান বা তার অধিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে অলঙ্ঘনীয় সরকারি নীতিমালা তৈরি করে দিতে হবে। অর্থাৎ বেতন, ছুটি, কর্মঘণ্টা, চিকিৎসাসহ নানা ভাতা এবং অবসরকালীন সুবিধা ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হবে। মালিকপক্ষ বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর যেন চাকরিজীবীর চাকরি থাকা-না থাকা নির্ভরশীল না হয়, সেই নিয়ম-রীতি কঠোরভাবে পালনে রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। ছোটবেলায় দেখেছি এবং এখনও গল্প শুনি যে, বেসরকারি চাকরির সুযোগ-সুবিধার কারণে অনেকেই সরকারি চাকরি ছেড়ে চলে যান। যদিও বেসরকারি খাত এখন চ্যালেঞ্জিং কিন্তু এই সরকার কল্যাণমূলক ব্যবস্থা বিনির্মাণে এগিয়ে এলে সেটিই হবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

যারা বলবে, বয়সের সীমারেখা উঠিয়ে দিলে সবাই চাকরির পেছনে ছুটবে; এরা রাষ্ট্র, ক্ষমতা, সমতা ও কর্ম কীভাবে কাজ করে সেটি দরদ দিয়ে অনুভব করতে ব্যর্থ হচ্ছেন বলে মনে হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি গভীরভাবে অনুধাবন না করে বয়সসীমা বৃদ্ধি করলে ‘’চাকরিপ্রার্থীদের বিয়ে-শাদি, সন্তান হওয়ার কারণে করুণ অবস্থা হবে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন (বিবিসি বাংলা অনলাইন, ৮ জুলাই, ২০১৯)। তার কথারই প্রতিধ্বনি করেন সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ বছরের জুলাইতে। তিনি বলেন, ‘নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে (ডেইলি স্টার অনলাইন, ৩ জুলাই ২০২৪)।

দেশের প্রধানমন্ত্রী ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী যদি আসল কথা বাদ দিয়ে অগভীর কথাবার্তা বলেন, তাহলে রাষ্ট্র-নাগরিক অধিকার সম্পর্কে অবগত নন এমন কেউ এসব কথা শুনে নিশ্চয়ই বয়সকে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে মানতেই পারেন। কিন্তু সুযোগ ও অধিকারের সমতা নিশ্চিত না করে ৩০ বছর পর দেশের কোনো নাগরিককে কর্মে অযোগ্য বা অক্ষম করে তোলা এবং তার অর্জিত সনদকে কর্মপ্রাপ্তির যোগ্য মনে না করা কোনো আদর্শ রিপাবলিকের কর্মনীতির বৈশিষ্ট্য হতে পারে না।

২.
সরকারি চাকরিতে আবেদন ফি হিসেবে যে পরিমাণ অর্থ নেয়া হয়, তাও ঠিক নয়। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আবেদন করার সুযোগ রাখা উচিত, নাহয় নামমাত্র মূল্যে। পরীক্ষাগুলোকে বিভাগীয় শহরে নেয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। কারণ, টিউশনি করে আশ্রয় ও আহার নিশ্চিত করে ছাত্র-ছাত্রীদের চাকরিতে আবেদন করা এবং ঢাকায় আসা-থাকা-খাওয়া-যাওয়ার অর্থ যোগাতে ভীষণ কষ্ট হয়। তাই বাংলাদেশে প্রতিটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঘণ্টা হিসেবে কাজ ও বেতন নির্ধারণের আইন হোক। এতে কাজের যেমন সৃষ্টি হবে, তেমনি ছাত্রছাত্রীদের পুরোটা সময়ের বদলে একটি নির্দিষ্ট ঘণ্টা কাজ করে নিজের ও পরিবারের আর্থিক অভাব দূর করা সম্ভব।

আমাদের নীতিনির্ধারকদের অনেকে জানেনই না যে, সরকারের বেঁধে দেয়া বয়সের অজুহাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের চাকরি করে রোজগার করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। পৃথিবীর কোনো সভ্য রাষ্ট্রে এভাবে সরকারি ও বেসরকারি উভয়ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নাগরিকের কর্ম ও শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না। কিন্তু বাংলাদেশের গণবিচ্ছিন্ন, ভোগবাদী আমলাতন্ত্র ও গণবিরোধী রাজনীতিবিদদের মধ্যে যে অলিখিত চুক্তি ও প্রেম গড়ে উঠেছিল, তা ছাত্র-জনতার কাতারে এসে জনদরদি সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহ বোধ করেনি।

৩.
দেশের নীতিনির্ধারকদের নাগরিকের অধিকার প্রদানের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে। বিশেষ কিছু চাকরিতে অধিক সুযোগ দেয়া এবং কৃষি, বেসরকারি চাকরি, প্রবাসজীবন, ক্ষুদ্র ব্যবসা-উদ্যোগ ও অন্যান্য পেশাকে মূল্যায়ন না করাই ছাত্রছাত্রীদের চাকরিপ্রবণ করেছে। বিকল্প সামাজিক মর্যাদা ও সুবিধাপ্রাপ্তির ক্ষেত্র তৈরি না করে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ও সামাজিক মর্যাদার নীতিনির্ধারণী উপাদান (রাজনৈতিক বা চাকরির পদবী বলে চর্চিত ক্ষমতা বা প্রাপ্ত গাড়ি, অর্থ, বাড়ি, বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সুবিধাপ্রাপ্তি ইত্যাদি) এক স্থানে দিয়ে রেখেছেন বলেই সবাই ওই দিকে ছুটছে। ইনসাফ ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সুযোগ ও ক্ষমতাকে সমভাবে বণ্টন করে বিকেন্দ্রীকরণ করে দিলে এমন হবে না। উদ্যোগের সুযোগকে প্রসারিত করার পাশাপাশি তাই জরুরি ভিত্তিতে আন্তঃচাকরি বৈষম্য প্রতিরোধ করতে হবে।

নবম গ্রেডের বিসিএস ক্যাডার (বিশেষ করে প্রশাসন, পুলিশ, পররাষ্ট্র ইত্যাদি ক্যাডারের সুবিধাপ্রাপ্ত অংশ। যদিও এসব ক্যাডারের অল্পসংখ্যক পদবঞ্চিত বলে পরিচিতরাও অন্যান্য চাকরির অনেকের চেয়ে সুযোগ-সুবিধা বেশি পেয়ে থাকেন বলে কথিত আছে), সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন প্রাপ্ত অফিসার, জুডিশিয়ারির বিচারক এবং আরও কিছু চাকরিজীবী হয়ে যায় ক্ষমতাধর জমিদার, আর একই গ্রেডের অন্য ক্ষেত্রের চাকরিজীবী হয়ে যায় ক্ষমতাহীন ‘চাকর’। প্রায় একই রকম পড়াশুনা করে একটি চাকরি পেয়ে কেউ পরিবার নিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করে এবং আরেকজন বাজারে গিয়ে হিমশিম খায়। চাকরিহীন মানুষগুলো আরও নানাভাবে বঞ্চিত হয়। এসব বন্ধ করতে হবে। ন্যায়ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থায় জনপ্রশাসন এমনভাবে সাজানো দরকার, যেন কোনো ব্যক্তি কোনো চাকরিতে অতিরিক্ত সুবিধা না পায়। কেউ অতিরিক্ত ক্ষমতা পাবেনা, ঘুষ বা আউট ইনকাম করে বা প্রভাব খাটিয়ে নিম্ন পদমর্যাদার সহকর্মীদের প্রভু হয়ে উঠবেনা, এমনভাবে চাকরির বিধি ও কর্মপরিধি বানাতে হবে।

৪.
এখন সরকারি চাকরিজীবীদের একাংশের হাতে ক্ষমতা ও বিলাসিতার পাশাপাশি সামাজিক মর্যাদা বা স্ট্যাটাসেরও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বলে একটি বয়ান দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ গণমাধ্যমও এই অপবয়ান উৎপাদনে ভূমিকা রেখেছে। সৃজনশীল চিন্তক, বিজ্ঞানী, গবেষক ও জনদরদী কেউ গণবিচ্ছিন্ন গণমাধ্যমে ‘নায়ক’ হিসেবে উপস্থাপিত হয়নি। বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে ‘ভাত হারুন’ বা ‘লাঠিয়াল হারুন’ হয়েছে হিরো।

জনতার বড় অংশের বিনির্মিত ক্ষমতামুখী সুবিধাবাদী চরিত্রের কারণে কৃষক, শ্রমিক, প্রবাসী, ফ্রিল্যান্সার, বেসরকারি চাকরিজীবী ও উদ্যোক্তাদের সামাজিক মর্যাদা হ্রাস পায়। বিয়ের পাত্র খোঁজার সময় এই বৈষ্যম্যমূলক গণমানসের দেখা অহরহ মিলছে বলে সামাজিকমাধ্যমে মিথস্ক্রিয়া দেখা যায়। সমস্ত কাজকে, সব শ্রেণি-পেশাকে এ কারণে যথাযোগ্য মূল্যায়ন করতে হবে। কোনো চাকরি বা কাজকে যেন কেউ ছোট বা বড় মনে না করতে পারে, সেই মজবুত ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে হবে। এটা না করা গেলে বিপ্লব বেহাত হবে, জনআকাঙক্ষার অপমৃত্যু ঘটবে।

কিছু চাকরির মধ্যে ঔপনিবেশিক জমিদার-তালুকদার হয়ে ওঠার বীজ সুপ্ত থাকায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী তথা ‘জনগণের চাকর’কে ‘জনগণের প্রভু’ হয়ে উঠতে চায়। গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-২০ পর্যন্ত বেতনের যে ভয়াবহ বৈষম্য, তা নিরসনে চিন্তা করা জরুরি। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অসন্তুষ্টি বিরাজ করছে ঊর্ধ্বতনদের (বিশেষ করে বঞ্চিত নয় এমন আমলা ও পুলিশ-আর্মি ইত্যাদি পেশার উপরমহলের অতিরিক্ত সুবিধাপ্রাপ্তি নিয়ে) বিষয়ে। চাকরি থেকে অন্যায় বা অতিরিক্ত সুবিধা গ্রহণ এবং ‘অধস্তন’দের প্রভু হয়ে উঠার সমস্ত অপনিয়ম, বুর্জোয়া আইন, বৈষম্যবিধি নির্মূল করলে এমনিতেই এই আধুনিক যুগে অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী চাকরির প্রতি আসক্ত হবে না।

৫.
ব্যবসা ও উদ্যোগকে সহজ ও লাভজনক করে মালিকপক্ষের খবরদারি-মাতুব্বরিকে নিয়ন্ত্রণপূর্বক বেসরকারি খাতের চাকরির সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের মাধ্যমে কৃষক ও শ্রমিকের ফসল ও শ্রমের সম্মানজনক মূল্য নির্ধারণ করলে সবাই চাকরির পিছনে ছুটবে না। এর আগে অবশ্যই সর্বস্তরের সরকারি চাকরিতে বেতন-ভাতা ও সব ধরনের সুযোগের সাম্য নিশ্চিত করে বাংলাদেশ থেকে আন্তঃকর্ম, আন্তঃচাকরি ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য বিলোপ করতে হবে।

বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদের বীজ হচ্ছে বিভিন্ন কর্ম, উদ্যোগ ও চাকরির মধ্যে সুবিধা ও সমতার ভয়াবহ বৈষম্য। এ বৈষ্যম্য যে কেবল শ্রেণিসংগ্রামে সুবিধাবাদীদের জিতিয়ে দেয় তা নয়, বরং শ্রেণি সংঘাতের চলমান যুদ্ধে অধিকার, শ্রম, মূল্য, বাজার ও সংস্কৃতির নিয়ন্ত্রণও ক্ষমতাহীনের হাতছাড়া হয়ে যায়। এতে হেরে যায় জনগণ, আক্রান্ত হয় সাধারণ মানুষ। এ বৈষম্য অবিলম্বে নিরসন করতে হবে। তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণ করে দেয়াটা যে গৌণ বিষয়, এই সত্যটি উদ্ভাসিত হবে। আর সে পর্যন্ত বাংলাদেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর করাই যৌক্তিক (৩৬ও করা যেতে পারে)। ৫ আগস্ট ২০২৪-এর অবিস্মরণীয় ‘বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক’।

লেখক: একজন গবেষক। গণমিথস্ক্রিয়া, গণমাধ্যম, ভূরাজনীতি, ডিজিটাল যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ইত্যাদি বিষয়ে পাঠ ও প্রতিক্রিয়া অন্বেষণ করেন তিনি। ইমেইল: [email protected]

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply