গতির ঝড় তোলা মায়াঙ্ক ইয়াদভকে সামলাতে পারবে তো বাংলাদেশ?

|

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছর আইপিএলের ১৫তম ম্যাচে ক্যামেরন গ্রীনের বেলস উড়িয়ে দেয়া ডেলিভারিটা দেখে চোখ কপালে উঠেছিলো অনেকেরই। ক্রিকেট বোদ্ধারা তখনই জাতীয় দলের জার্সিতে কল্পনা করে ফেলেছিলেন বাইশ গজে গতির ঝড় তোলা ভারতীয় দলের নতুন পেসার মায়াঙ্ক ইয়াদভ। সাধারণ কোনো ঝড় নয়, ১৫৬.৭ কিলমিটার বেগের রীতিমত ট্রেসার বুলেট ছুঁড়ছেন ডানহাতি এই পেসার।

স্বপ্নটা দেখার মতো দেখতে পারলে, কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ একদিন ধরা দেয় বাস্তবতায়। আইপিএলের প্রথম দুই ম্যাচেই ৬ উইকেট নিয়ে দুবারই ম্যাচসেরা হওয়া মায়াঙ্কের অপেক্ষা ফুরিয়েছে। জাতীয় দলের স্বপ্নের জার্সিটা গায়ে তোলার জন্য ডাক পেয়েছেন টিম ইন্ডিয়ায়। তবে মায়াঙ্ক ইয়াদভ নামটা ভারত শিবিরে সামর্থ বাড়ালেও, অস্বস্তির খবর হয়ে দাঁড়াচ্ছে কি বাংলাদেশ শিবিরে?

বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেই দলের অন্যতম সেরা পেসার জাসপ্রীত বুমরাহ। তবে নয়া দিল্লীর মায়াঙ্ক যদি ফিরে আসেন বুমরাহ-সিরাজদের ছায়া হয়ে তবে নড়েচড়ে বসতে হবে শান্ত-লিটনদের। মায়াঙ্কের অতিরিক্ত পেস কাঁপন ধরাতে পারে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপে।

আইপিএলের সবশেষ আসরে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়ে ৪ ম্যাচে ৭ উইকেট নিজের নামের পাশে লিখেছিলেন ২২ বছর বয়সী এই পেসার। তার খেলা ৪ ম্যাচেই জিতেছিল তার দল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। প্রথম দুই ম্যাচেতো জিতিয়েছিলেন তিনি নিজেই। প্রথম ম্যাচে ১৫৫.৮ কেপিএইচের পর, দ্বিতীয় ম্যাচেই গতি তোলেন ১৫৬.৭। আইপিএলের ইতিহাসে যেটা ফাস্টেস্ট এভার।

চোটের কবলে পড়ে অবশ্য পুরো আসর খেলা হয়নি এই বোমারু গতির পেসারের। লিস্ট এ ক্রিকেটে ১৭ ম্যাচে ৩৪ উইকেটের মালিক মায়াঙ্ক ইয়াদভ। ২০২২ এর আইপিএলে লখনৌ শিবিরে প্রথমবার ডাক পেলেও সেই আসরে খেলা হয়নি কোনো ম্যাচ। পরের আসরে ছিটকে যান হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে। তবে এবার ফিরছেন এনসিএ’র রিহ্যাব সেরে। বাংলাদেশের বিপক্ষে গম্ভীর-মরকেলের তুরুপের তাস হতে পারেন এই স্পীডস্টার।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply