কানপুর স্টেডিয়ামের যাত্রা কি তবে শেষের পথে?

|

১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত উত্তর প্রদেশের কানপুর স্টেডিয়ামে চলছে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের লড়াই। এই টেস্টের পুরো দুই দিন মাঠে খেলা গড়ায়নি কেবলমাত্র মাঠের ড্রেনেজ সিস্টেমের অব্যবস্থাপনার কারণে। টেস্টের দ্বিতীয় দিন সেখানে বৃষ্টির বাগড়া থাকলেও তৃতীয় দিনে কোন বৃষ্টিপাত হয়নি। আগের দিনের জমে থাকা পানিই সরাতে পারেনি গ্রাউন্ডের দায়িত্বে থাকা ৭৫ জন মাঠকর্মী। এর আগে, ২০২১ সালে এই মাঠে সবশেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।

স্বাভাবিকভাবেই এমন ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমর্থকদের কড়া সমালোচনার মাঝে পড়েন কানপুর গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের কর্তৃপক্ষ। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে থাকা এক স্টেডিয়ামের এমন দূর্বল ব্যবস্থাপনার সমালোচনা করেছেন ক্রিকেট সমর্থকরা। স্টেডিয়ামের গ্যালারি নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। বেলকনি ‘সি’ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, গ্যালারির ওই অংশে লোক সমাগম হলে পুরো জায়গাটি ধসে পড়তে পারে।

এদিকে রাজ্যের ক্রিকেট অ্যাসোয়েসিয়েশনের পাশাপাশি এখানকার আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির হোমগ্রাউন্ড হিসেবে নতুন মাঠ লাখনৌয়ের একানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সেখানকার দর্শক ধারণক্ষমতা ৫০ হাজার। সেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বকাপের ম্যাচও। অনেকেরই ধারণা উত্তর প্রদেশের ক্রিকেট এখন একানা স্টেডিয়ামের দিকে ফোকাস রেখেই এগোতে পারে।

উল্লেখ্য, ৭৯ বছরের পুরাতন কানপুর স্টেডিয়াম থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিদায় নেবে কি না তা সময়ই বলে দেবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ বাদ দিলে ভারতের ঘরোয়া প্রতিযোগিতার আয়োজনও খুব একটা করা হয় না এখানে। আইপিএলে অবশ্য মাঠটি গুজরাট লায়ন্সের হোম গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার হয়েছিলো।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply