কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনেই দুই ব্যাটারকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম দিনের শুরুতেই ফিরে যান প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুলও। এরপর ওপেনার সাদমানকে সঙ্গে নিয়ে ৫৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক শান্ত। সেই সময়ে কিছুটা চাপেই ছিল ভারত। এমন পরিস্থিতিতে জাদেজার বলে রিভার্স সুইপ খেলতে চাইলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ব্যাটে বলে হয়নি, বল আঘাত করলো স্টাম্পে। যাকে বলে অপ্রয়োজনীয় ও দায়িত্ব জ্ঞানহীন ব্যাটিং। তার বিদায়ে শুরু, এরপর একের পর এক উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ৯১ রান করা বাংলাদেশ ৯৪ রান তুলতে হারায় ৭ উইকেট। এমন ব্যাটিং ধ্বসেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
উইকেট বিলিয়ে আসেন ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করা সাদমান ইসলাম। লিটন-সাকিবও করেছেন তাই। লিটন ১ রানে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর, সাকিবও ফেরেন শূন্য রানে। তিনি বোলার জাদেজার বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। হয়তো এটিই তার শেষ টেস্ট ইনিংস। আর এমনটি হলে শূন্য রানেই শেষ হচ্ছে সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ার।
লোয়ার অর্ডারে দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি মিরাজ-তাইজুলরাও। মিরাজ ৯ রান করতে পারলেও রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তাইজুল। দুজনেরই উইকেট গেছে বুমরাহর ঝুলিতে।
দশম উইকেট জুটিতে খালেদ আহমেদকে নিয়ে লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন মুশফিক। তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। প্রথম সেশনের শেষ বলে বড় শট খেলতে গিয়ে বুমরাহর বলে আউট হয়েছেন মুশফিক। তাতে ১৪৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিততে ভারতের প্রয়োজন মাত্র ৯৫ রান। খেলার বাকি রয়েছে এখনও দুই সেশন। বাংলাদেশর পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংসটি সাদমানের। এই ওপেনার খেলেন ৫০ রানের ইনিংস। ভারতের পক্ষে অশ্বিন, জাদেজা ও বুমরা তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। বাকিটি পেয়েছেন আকাশ দ্বীপ।
Leave a reply